ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ কোটা সংস্কার আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর যে জুলুম-নির্যাতন চলছে তা মেনে নেয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ।
তিনি বলেন, শুধু ছাত্র নয়, হামলা ও গ্রেফতার করা হচ্ছে অভিভাবকদেরও। মত প্রকাশ এবং দাবি আদায়ের জন্য কথা বলার অধিকার সবারই আছে। কোনো নাগরিক অধিকারের দাবি তুলতে পারবে না, এটা হতে পারে না।
বুধবার (৪ জুলাই) সকালে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, শিক্ষকরা আজ রাস্তায় অনশন করছে। তাদের সঙ্গে কেউ কথা বলার প্রয়োজনও বোধ করছে না। অথচ শিক্ষকরাই জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। মাদক ও চোরাকারবারী এখনও সংসদেই আছে। মাদকের ছোবলে দেশের সংস্কৃতি ও সমাজ ধংস হয়ে যাচ্ছে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সাধারণ মানুষ এখন রাজনীতিবিদদের ঘৃণা করে। আমরা ক্ষমতায় গিয়ে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনবো।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, বিএনপি নির্বাচনে এলো কি এলো না তাতে কিছু যায় আসে না। বিএনপি নির্বাচনে এলে এক ধরনের প্রস্তুতি আর না এলে অন্য কৌশলে নির্বাচন হবে। জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই প্রস্তুতি নিয়েছে। আমরা নির্বাচনে জয়ের স্বপ্ন দেখছে।
অনুষ্ঠানে সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব মেজর (অব.) আশরাফ উদ দৌলা এরশাদের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, সুনীল শুভ রায়, মেজর (অব.) খালেদ আকতার, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, মোস্তাফিজুর রহমান, রৌমারী উপজেলার জাতীয় পার্টির সভাপতি কামরুল আলম বাদল, সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন লিপন।