ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ কোটার আন্দোলন আজকের নয় আরও ৫/৬ বছর আগে থেকে চলছে। অথচ সময়ের দাবির এই ন্যায্য আন্দোলনকে সরকার দমাতে চায়। তারা লাথিঘুষি মারে, ছাত্রলীগ ছাত্রদের নির্যাতন করে ছাত্রীদের নিপীড়ন করে। একই ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে পুলিশকেও। আর সকল নিপীড়ককে আশ্রয় দিচ্ছে প্রশ্রয় দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই মুহূর্তে রাষ্ট্রের ভূমিকা অবিশ্বাস্য। পুলিশ, ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একাকার।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, গ্রেফতার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ।
তিনি অভিযোগ করেন, বৈশাখ বরণের অনুষ্ঠানে যৌন নিপীড়নের ভিডিওফুটেজ দেখার পর আর অগ্রসর হতে দেখা যায়নি পুলিশ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। এমন কারও ছবি সেখানে ছিল তাদের রক্ষা করতেই অগ্রসর হতে দেখা যায়নি। ওই বিচার না হওয়ায় আজ আমরা ফের মরিয়মের কণ্ঠে প্রথম ও দ্বিতীয় জাহান্নামের বীভৎসতা শুনছি। মরিয়মকে হুমকি দেয়া হয়েছে। ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে গ্রেফতার করার। ধর্ষণের হুমকিও দেয়া হচ্ছে।
ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বাকি বিল্লাহর সঞ্চালনায় অর্থনীতিবীদ আনু মোহাম্মদ বলেন, এতো উন্নয়ন করছেন, তবুও কেন বিভিন্ন বাহিনীকে লেলিয়ে দিতে হয়, এতো জনপ্রিয়তা থাকার পরও কেন শক্তি প্রয়োগ করতে হয়? যে কোটা আন্দোলনে ২৫ লাখ ছাত্র জনতা অংশ নিয়েছে সেখানে দেশের শতকরা মানুষের সম্মতি রয়েছে সেখানেই ভয়। আসলে সরকারের সবকিছুতে ভয় এই বুঝি বেহেশত ছাড়তে হবে।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের আন্দোলন করতে গিয়ে যাদের উপর নির্যাতন করা হয়েছে এর বিচার করতে হবে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নিঃশর্তভাবে ছেড়ে দিতে হবে। যাদের হয়রানি করা হচ্ছে, হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে তা বন্ধ করতে হবে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী, হাতুরি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
একই অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ফাহমিদুল হক, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীর অভিভাবক জাকির হোসেন, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বাকিবিল্লাহর আইনজীবী হাসনাত কাইয়ূম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক রেহনুমা আহমেদ, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ কামাল উপস্থিত ছিলেন।