ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জামায়াতের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সিলেট মহানগর আমীর এহসান জুবায়ের পক্ষে নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট হতে অনীহা প্রকাশ করেছেন একাধিক জামায়াত নেতারা। হাই কমান্ডের নির্দেশনা অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জামায়াতকে সিলেটে বিতর্কিত করার জন্য এহসান জুবায়েরকে ভোট না দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে সিলেট জামায়াতের একটি অংশ।
সূত্র বলছে, নির্বাচনের নামে দলের সাথে প্রহসন করা এবং সম্ভাব্য পরাজয়ে দলকে কলঙ্কিত করার জন্য এহসান জুবায়েরকে ভোট দিবেন না জামায়াত কর্মীরা। এছাড়া তার পোলিং এজেন্ট হওয়া থেকে বিরত থাকবেন স্থানীয় জামায়াত নেতা-কর্মীরা।
সিলেট জামায়াত সূত্রে জানা যায়, সিলেটে বিএনপি ও জামায়াতের জোট ভাঙতে একটি প্রভাবশালী দলের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন এহসান জুবায়ের। জুবায়ের মূলত জামায়াতের লেবাস ব্যবহার করে একটি দলের মিশন কমপ্লিট করার জন্য প্রকাশ্যে কাজ করছেন। জুবায়ের আসলে পাকিস্তানপন্থী জামায়াতের আদর্শে বিশ্বাসী নয়। তিনি পয়সার বিনিময়ে জামায়াতের আদর্শ বিক্রি করছেন। জুবায়ের নিজেও জানেন তিনি নির্বাচনে জয়ী হতে পারবেন না। শুধুমাত্র বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হককে বেকায়দায় ফেলার জন্য নির্বাচন করছেন। জুবায়েরের প্ররোচনায় পড়ে আসল জামায়াতের ভোট নষ্ট হবে।
এদিকে জামায়াতের বড় একটি অংশ ইতোমধ্যে আরিফুল হকের পক্ষে কাজ করার ওয়াদা করেছেন। সিলেটে আরিফুল হক জামায়াতের নেতা-কর্মীদের যেভাবে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন সেটি অবশ্যই জোবায়ের দিতে পারবেন না। জোবায়ের শুধু টাকা কামাইয়ের জন্য নামে জামায়াত করেন।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন করলে অর্থনৈতিক সুবিধা পাবেন, তার বিরুদ্ধে সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করা হবে এবং হেরে গেলে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে বসবাসের সুযোগ পাবেন, প্রভাবশালী একটি রাজনৈতিক দলের দেওয়া এইসব শর্তে রাজি হয়েই জুবায়ের নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জুবায়ের আসলে চরম রকমের সুবিধাবাদী নেতা। আন্দোলন-কর্মসূচীতে তাকে কখনই পাওয়া যেতে না। তাই সবকিছু বিবেচনা করে জুবায়েরকে প্রত্যাখ্যান করার ঘোষণা দিয়েছেন জামায়েতের সেই অংশটি।
এই বিষয়ে নগরীর ১০ নাম্বার ওয়ার্ডের অন্তর্গত মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা ও জামায়াত কর্মী সুলতান মাহমুদ বলেন, জুবায়ের তো রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া নেতা। তিনি কোন অর্থেই জামায়াতের আসল কর্মী হতে পারেন না। তার নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছি আমরা। আমাকে তার পোলিং এজেন্ট হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। আমি সাথে সাথে না করে দিয়েছি। তার মত প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট হলে জামায়াতের আদর্শের সাথে বেঈমানী করা হবে। আরিফুল হকের পক্ষ থেকেও অনুরোধ করা হয়েছে। আমি আসলে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি।