ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ছয় ফিট বাই আট ফিট কিংবা তার চেয়ে একটু বেশি এমন একটি কক্ষ নিয়ে দিনের পর দিন চলছে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
জনবল সব মিলিয়ে একজন। যিনি টেস্ট করেন তিনিই আবার ওষুধের নাম লিখে দেন। নেই রিপোর্ট কনসালট্যান্ট’র স্বাক্ষর। এই রিপোর্ট দেখিয়ে কেউ কেউ ওষুধ কিনছেন ফার্মেসি থেকে। আর ফার্মেসি মালিকরাও বিক্রি করছেন ওষুধ।
এক পৃষ্ঠায় রিপোর্ট আর উল্টো পিঠে প্রেসক্রিপশন দেয়া আছে। এই প্রেসক্রিপশন কে লিখেছেন তার নাম নেই। এছাড়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক লাইসেন্স থাকার কথা থাকলেও কাপ্তাইয়ের অধিকাংশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নেই কোনো লাইসেন্স।
কাপ্তাইয়ের নতুন বাজার এলাকায় রোববার অভিযান চালিয়ে এসব দৃশ্য দেখতে পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোনো লাইসেন্স না থাকায় কাপ্তাই ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও মেডিকম ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন।
একই সময়ে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটা তাজাকরণ ওষুধ বিক্রি, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অপরাধে হক মেডিকেল সেন্টারকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত আসার খবরে নতুন বাজারের অধিকাংশ ওষুধ বিক্রেতারা দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, যে দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করা হয়েছে তাদের লাইসেন্সসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনকৃত কোনো কাগজপত্র নেই। ছোট একটি মুদি দোকানকে পার্টিশন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রোগ নির্ণয় করে আসছে তারা। এসব প্রতিষ্ঠানে কোনো কনসালট্যান্ট ও চিকিৎসক কিছুই নেই। একজন লোক দিয়েই ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করা হচ্ছে। তাই আমরা প্রতিষ্ঠান দুটিকে সিলগালা করে দিয়েছি।