DMCA.com Protection Status
title="৭

দুজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ বহির্ভুত বসবাস বৈধঃ সুপ্রিম কোর্ট।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  অবিশ্বাস্য হলেও সত্য শতকরা ৯০ ভাগ মুসলিমের দেশ বাংলাদেশে বিবাহ বহির্ভুত বসবাস কিংবা লিভ টুগেদারকে আইনগত বৈধতা দিলো দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এতোদিন পর্যন্ত আমাদের দেশে দু’জন ছেলে-মেয়ে একসাথে থাকতে পারার বিষয়টা শুধু বিয়ের মাধ্যমেই সম্ভব ছিলো।

এই ব্যাপারে আইনগত কোন যুক্তি ছিলোনা। তবে আমাদের ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী বিয়ে ছাড়া একসাথে বসবাসের অনুমোদন না থাকায় এটা শোভন ছিলো না। 

 তবে উন্নত দেশসমূহে অনেক আগে থেকেই বিয়ে ছাড়াও ছেলে-মেয়েদের একসাথে বসবাসের সুযোগ ছিলো।

যেটাকে আখ্যায়িত করা হয় লিভ টুগেদার হিসেবে।আমাদের দেশে এইরকম সুযোগ না থাকলেও অনেকে লুকিয়ে এবং কাউকে না জানিয়ে লিভ টুগেদার করতো। অনেকে স্বামী-স্ত্রী মিথ্যা পরিচয়ে লিভ টুগেদার করতো। তবে এই বিষয়টিকে আমাদের দেশে ভালো চোখে দেখা হতো না। ঘৃণার চোখে দেখা হতো।

যদিও অমুসলিম দেশ গুলোতে এটি একটি অতি সাধারণ ঘটনা। তবে এবার থেকে বিয়ে না করেও একসাথে থাকা, অর্থাৎ লিভ ইন করাকে সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি মান্যতা দিয়ে দিল। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে সুপ্রিম কোর্ট এই ঘটনাকে মান্যতা দিয়ে দিয়েছে।

গতবছর এই বিষয়ে একটি মামলা হয়েছিলো যার রায় দেয়ার সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, দু’জন ছেলেমেয়ের মধ্যে মনের মিল থাকলেই তারা একসাথে থাকতে পারবে। এজন্য তাদের বিয়ের মতো সামাজিক প্রথার সম্মুখীন হতে হবে না। কোর্ট থেকে আরো বলা হয়েছে যে, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ে যদি তাদের নিজেদের ইচ্ছায় একে অপরের সাথে থাকতে, সহবাস করতে ইচ্ছুক থাকে তাহলে সমাজের সেটিকে বাধা দেওয়ার অধিকার নেই!

আমাদের সমাজে বিয়ে ছাড়া দু’জন ছেলে-মেয়ের একসাথে থাকা সম্ভব না হলেও সুপ্রিম কোর্ট সেই ব্যাপারে অনুমোদন দিয়েছে। সুপ্রিমকোর্ট জানিয়েছে যে, দুজনের মধ্যে ভালোবাসা আর সম্মতি থাকলেই তাদের আর কোন বাধার সম্মুখীন হওয়া উচিত নয়। ভালোবাসা থাকুক প্রকাশ্যে, সমাজের কোনরকম ভয় না করে।

এই রায়টিকে সমাজে বাজে চোখে দেখা হলেও লিভ ইন করায় আগ্রহী ছেলে-মেয়েরা এই রায়ে অনেক খুশি হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে আমাদের ধর্মীয় অনুভুতি সম্পন্ন সমাজের  মানুষেরা এই রায়ের ব্যাপারে মোটেও সন্তুষ্ট নয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

 

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!