ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আজকের চাঁদ প্রাণীর বসবাসের অনুপযুক্ত। কিন্তু চিরকাল নাকি এমনটা ছিল না। এক সময়ে চাঁদেও নাকি বসতি ছিল। যদিও তারা মানুষ নয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম মিররের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এবেলা এ তথ্য জানিয়েছে।
এবেলার প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেষক দল সম্প্রতি জানিয়েছে, ভিন গ্রহের প্রাণীরা চাঁদে একসময়ে বাস করত। গবেষকদের মতে, এক বার নয়, দু’বার তারা এই উপগ্রহে বসতি স্থাপন করে— ৪০০ কোটি বছর আগে এক বার এবং ৩৫০ কোটি বছর আগে আরও এক বার।
গবেষকদের ধারণা, এই সময়েই চাঁদ থেকে বিপুল পরিমাণে উত্তপ্ত গ্যাস নির্গত হয়, যার মধ্যে অতি-উত্তপ্ত জলীয় বাষ্পও ছিল। এই জলীর বাষ্প থেকেই চন্দ্রস্পৃষ্ঠে বেশ কিছু জলাশয় জন্মায়।
গবেষক দলের মুখপাত্র ডার্ক শুলজ-মাকুচ জানান, আদিপর্বে চাঁদে তরল জল ও বায়ুমণ্ডল ছিল। এবং তা দীর্ঘকাল স্থায়ীও হয়েছিল। এ কারণেই চাঁদ সেই সময়ে বসবাসের উপযোগীও ছিল। পৃথিবীর মতো একই প্রক্রিয়ায় সেখানে প্রাণের জন্ম হওয়াটা কিছু আশ্চর্যের বিষয় নয়।
কিন্তু গবেষকরা যে দাবি করছেন, তা বিস্ময়কর। তাদের মতে, এক উল্কায় সওয়ার হয়েই ভিনগ্রহীরা চাঁদে এসে পৌঁছায় এবং সেখানে বসতি স্থাপন করে। কারণ, একটা দীর্ঘ সময় ধরে পৃথিবী এবং চাঁদে উল্কাবর্ষণ হয়েছিল, তার প্রমাণ রয়েছে। এই উল্কা-বাহিত হয়েই প্রাণের আদি উপকরণগুলি পৃথিবীতে পৌঁছায়। চাঁদেও পৌঁছায়। সে কারণে চাঁদে প্রাণের বিকাশ কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয় বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।
চাঁদের জলাশয়গুলিতে জীবাণু বা ওই জাতীয় ক্ষুদ্র প্রাণ সেই সময়ে ছিল। পরে চন্দ্রস্পৃষ্ঠ শুকিয়ে গেলে তারা বিলীন হয়ে যায়। চাঁদে আরও কিছু অভিযান এ বিষয়ে তথ্য প্রদান করতে পারে বলে বিশ্বাস ডার্ক ও তার গবেষক দলের।