ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ফরিদপুর শহর থেকে শর্টফিল্মের নামে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে প্রতারণার অভিযোগে দুই যুবককে আটক করেছে র্যাব-৮। শুক্রবার ভোরে শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকা এবং নগরকান্দা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় ভুক্তভোগী এক নারীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-৮ এর ফরিদপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন জানান, মাসুম নামে ওষুধ কোম্পানির এক প্রতিনিধি র্যাবের কাছে অভিযোগ করেন- তিনি শর্টফিল্ম ও নাটক নির্মাণ করে এমন একটি গ্রুপের সঙ্গে কাজ করতেন। দু’টি শর্টফ্লিমে অভিনয়ও করেছেন। কিন্তু ওই নির্মাতারা দুই দিন আগে তাকে জিম্মি করে একটি মেয়ের সঙ্গে খারাপ ভিডিও নির্মাণ করতে বলেন। আর না হলে এক লাখ টাকা দিতে হবে। যদি তা না করা হয় তাহলে ওই মেয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে বিয়ে দেয়া হবে। পরে মাসুম ৪৪ হাজার টাকা ম্যানেজ করে জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পেয়ে বিষয়টি র্যাবকে জানায়।
তিনি আরও জানান, র্যাব তদন্ত করে জানতে পারে- এই চক্রটি শর্টফিল্ম ও নাটক নির্মাণের আড়ালে আসলে উত্তেজনাপূর্ণ ও অশ্লীল ভিডিও নির্মাণ করতো। তারা ইউটিউবে ‘আরটিভি বাংলা’ নামে একটি চ্যানেলে অশ্লীলভাবে ভিডিও প্রকাশ করতো। যা অনেক সময়ই অভিনেতা-অভিনেত্রীরা জানেন না।
র্যাব কর্মকর্তা রইছ উদ্দিন বলেন, র্যাব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরে অভিযানে নামে। প্রথমে ফরিদপুর শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে রাসেল তালুকদার নামে এক যুবককে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যে নগরকান্দা বাজার এলাকা থেকে সোহেল রানা নামে আরও এক যুবককে আটক করা হয়। তবে মুক্তিপণ আদায় চক্রের মূল হোতা মেহেদী হাসান ওরফে আশিক এ সময় পালিয়ে যায়। এদের জিম্মিদশা থেকে আমেনা নামে বিবাহিত এক তরুণীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
আটকদের কাছ থেকে দুইটি ল্যাপটপ, ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, খেলনা পিস্তল ও মুক্তিপণ নেয়া ৪৪ হাজার টাকার মধ্যে ৩৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী মাসুম ও উদ্ধার তরুণী আমেনা বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।