ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই স্কুলশিক্ষার্থী মর্মান্তিক ভাবে নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি পেতেই হবে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন নৌমন্ত্রী। বাগেরহাটের মংলা বন্দরের কন্টেইনার লোডিং-আনলোডিং কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে মোবাইল হারবার ক্রেন কেনা সংক্রান্ত চুক্তি সইয়ের আয়োজন করা হয়।
আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীর বিমানবন্দর সড়কের পাশে বাসের জন্য অপেক্ষা করার সময় জাবালে নূর পরিবহন বাসের চাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। তারা হলো দিয়া আক্তার মিম ও আবদুল করিম।
এ দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে নৌমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি হবে। আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, যে যতটুকু অপরাধ করবে সে সেভাবে শাস্তি পাবে। যে শাস্তি হবে সেই শাস্তি নিয়ে বিরোধিতার কোনো সুযোগ এখানে নেই।’
চুক্তি স্বাক্ষর প্রসঙ্গে শাজাহান খান বলেন, মংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার ৬৮ বছর পর এ ধরনের একটি ক্রেন সংগ্রহ করা বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে। তার গতিশীল নেতৃত্বে আমরা সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, আগামীতেও উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
নৌমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের গতিশীল নেতৃত্বে মংলা বন্দরের লোকসান কাটিয়ে লাভের ধারায় ফিরে এসেছে। ২০০১-২০০৬ সালে খালেদা জিয়ার শাসনামলে মংলা বন্দর লোকসান করেছিল ১১ দশমিক ৫ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মংলা বন্দর লাভ করেছে ৯৫ কোটি টাকা।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বলেন, মংলা বন্দর উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অগ্রাধিকার ও বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪৫৪ কোটি ৪৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মোট নয়টি উন্নয়ন প্রকল্প এবং চারটি উন্নয়ন কর্মসূচি সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে নয়টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে এবং ছয়টি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এ কে এম ফারুক হাসান এবং সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন। এ সময়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ উপস্থিত ছিলেন।
