ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর অশ্বিনীকুমার হলের সামনে বাসদ বরিশাল জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বাসদের সদস্যসচিব ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী, জেলা সদস্য এবং সদ্য নির্বাচনের সংরক্ষিত-৩ আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী জোহরা রেখা, জেলা সদস্য এইচ এম ইমন, শ্রমিক ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, বাবুল তালুকদার ও ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সন্তু মিত্র। সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন বাসদ বরিশাল জেলা আহ্বায়ক ইমরান হাবিব রুমন। সভা পরিচালনা করেন বদরুদ্দোজা সৈকত।
সমাবেশে ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তীতে শুধু বরিশালেই না বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্টমানের নির্বাচনের উদাহরণ তৈরি হয়েছে সোমবারের এই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে। প্রত্যেকটা কেন্দ্রেই চলেছে ভোট ডাকাতির মহোৎসব। আগে থেকেই ব্যালটে সিল মেরে সরবরাহ করা, জোর করে নৌকা প্রতীকে সিল দেয়া, অন্য প্রতীকে সিল দিলে ব্যালট ছিঁড়ে ফেলা এমনকি মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। আমাদের শতাধিক পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে, মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। এমনকি আমার নিজের স্কুলে সিল মারা ব্যালট হাতেনাতে ধরে ফেলায় আমার ওপর নৌকার পোলিং এজেন্টসহ নৌকার ব্যাচপরা ৭-৮ জন আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে আহত করেছে। একজন মেয়র প্রার্থীকে এভাবে কেন্দ্রের মধ্যে লাঞ্ছিত করার ঘটনা বিরল।
মনীষা চক্রবর্ত্তী বলেন, আমরা লিখিতভাবে রিটার্নিং অফিসারকে অভিযোগ দিয়েও কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই এই প্রহসনের নির্বাচন অবিলম্বে বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন দেয়া উচিত।
সভাপতির বক্তব্যে বাসদ বরিশাল জেলা আহ্বায়ক ইমরান হাবিব রুমন বলেন, এভাবে ভোট কারচুপির মাধ্যমে যারা মেয়র হবেন তারা হবেন লুটপাট আর দুর্নীতিবাজদের মেয়র। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।