ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ১৯৮৪ সালে যেখানে শুরু হয়েছিল, সেখানেই ফিরছে এবারের এশিয়া কাপ। ১৫ সেপ্টেম্বর এশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই শুরু আরব আমিরাতে। টুর্নামেন্টে পাকিস্তানকে এগিয়ে রাখলেও বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান আশাবাদী, ভালো করবে বাংলাদেশও।
২০১২, ২০১৪ ও ২০১৬ টানা তিন বছর এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। স্বাগতিক দর্শকদের সমর্থন আর হোম কন্ডিশনকে কাজে লাগিয়ে এ তিনবারের দুবারই ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। একবার তো শিরোপার খুব কাছে গিয়েও হারতে হয়েছিল ২ রানে।
তবে দেশের বাইরে এশিয়া কাপে বাংলাদেশ কখনোই ভালো করতে পারেনি। এবার আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় এ টুর্নামেন্টে তারা পারবে ব্যর্থতার সেই বৃত্ত ভাঙতে? বিসিবির পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান আশার কথা শোনালেন, ‘বাংলাদেশ গত দুই-তিন বছর ভালো করতে শুরু করেছে। আগে আমরা কী খেলেছি (এশিয়া কাপে) সেটা মূল্যায়ন না করি। আমরা দেশের বাইরে অনেক দুর্বল দলের কাছে যেমন হেরেছি, আবার গত তিন-চার বছর ভালোও করছি। টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে এমনকি টেস্টেও দেশের বাইরে ভালো করছি। এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ছাড়াও নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভারতে গিয়ে ভালো খেলেছি। এশিয়া কাপে এর আগে দেশের বাইরে ভালো করিনি, এবার আশা করছি ভালো করব।’
যেহেতু সংস্করণটা ওয়ানডে, এটি যেমন আশাবাদী করছে। বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে কদিন আগে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে পাওয়া সাফল্যও। সে না হয় জোগাল। কিন্তু শিরোপা ছোঁয়ার লক্ষ্যে আরব আমিরাতে পা রাখবে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাও। উপমহাদেশের অন্য তিন শক্তিশালী প্রতিপক্ষের মধ্যে কাদের সম্ভাবনা বেশি দেখছেন আকরাম? বাংলাদেশ দলের সাবেক এ অধিনায়ক পাকিস্তানকে কিছুটা এগিয়ে রাখছেন, ‘পাকিস্তান একটু এগিয়ে থাকবে। তারা আরব আমিরাতকে ঘরের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে। তারপরও যে কন্ডিশন থাকবে, সেখানে আমরা খেলে অভ্যস্ত। প্রত্যেক দলই এ কন্ডিশনে সহজে মানিয়ে নিতে পারবে। মনে হয় না সেখানকার কন্ডিশন থেকে কেউ কোনো বাড়তি সুবিধা পাবে। নির্ভর করছে আপনি কীভাবে খেলেন।’
আকরাম যেটি বললেন, আরব আমিরাতকে ‘হোম গ্রাউন্ড’ হিসেবে ব্যবহার করায় এশিয়া কাপে পাকিস্তান কিছুটা এগিয়ে থাকবে। কিন্তু রেকর্ড-পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা। আরব আমিরাতে যে দুবার এশিয়া কাপ হয়েছে দুটির কোনোটিতে রানার্স আপও হয়নি পাকিস্তান। ১৯৮৪ এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন ভারত, রানার্স আপ শ্রীলঙ্কা। ১৯৯৫ এশিয়া কাপেও তা-ই।
নিজেদের শক্তিমত্তা তো আছেই, এবারও রেকর্ড ভারতের পক্ষে। টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন যে তারা। পাকিস্তানের থাকবে পরিচিত কন্ডিশনে খেলার অভিজ্ঞতা আর গত বছর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতার আত্মবিশ্বাস। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা যাবে নতুন গল্প লিখতে। এখন অপেক্ষা জমজমাট এক এশিয়া কাপের।