ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এএসআই সালাউদ্দিনকে অবশেষে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তার গাড়িচালক রনিকেও আটক করা হয়। এবং মাদক বহনকারী প্রাইভেট কার আটক ও কারের ভেতর থেকে ডিবি পুলিশের একটি জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে মাদক ও ইয়াবা বিক্রির ২ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫০ টাকা, পুলিশের একটি আইডি কার্ড ও ৪টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার ভোররাতে সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিকের ৩নং ওয়ার্ডের মৌচাক এলাকায় কোরবানির হাট থেকে র্যাব-১১ এর এসপি নাজমুল হাসান তাকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে গত ২৩শে জুলাই র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল গ্রেপ্তারকৃত সালাউদ্দিনের সিদ্ধিরগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ৫ হাজার ৬২০ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির ৯ লাখ ৪০০ টাকা উদ্ধার করে।এবং তার সহযোগী সুমন (২৫) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব ১১’র এএসপি নাজমুল হাসান জানান, মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে প্রায় ৯ মাস আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) থেকে বরখাস্ত হন এএসআই সালাউদ্দিন। এরপর থেকে সালাউদ্দিন পলাতক। পলাতক হলেও সে এখনো নারায়ণগঞ্জ ডিবি’র অফিসার পরিচয় দিয়ে সবখানে চলে। স্থানীয় লোকজন তাকে সালাউদ্দিন স্যার ও ডিবি স্যার হিসেবে চিনে।
ইতিমধ্যে সে মাদক ব্যবসা করে অগাধ অবৈধ সম্পদের মালিক বনে গেছে। নিজ মালিকানাধীন ৩টি প্রাইভেটকার রয়েছে যেগুলো ইয়াবা পরিবহন ও সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত হয়। জাসিম, ওসমান ও বাহাদুর নামের তিনজন ব্যক্তিগত ড্রাইভারও আছে। সালাউদ্দিনের মাদক ব্যবসার আর্থিক হিসাব দেখাশোনার জন্য রয়েছে ব্যক্তিগত সহকারী। গ্রেপ্তারকৃত সুমন বেতনভোগী কর্মচারী হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ সালাউদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারীর দায়িত্ব পালন করে আসছে।
জাসিম, ওসমান ও বাহাদুর প্রাইভেট কারে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন মাদক স্পটে নিয়মিত ইয়াবা পৌঁছে দেয়। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে সুমন সালাউদ্দিনের নির্দেশ মতে ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং ও এসএ পরিবহনের মাধ্যমে কক্সবাজারের ইয়াবা সরবরাহকারীদের কাছে নিয়মিত টাকা পাঠিয়ে থাকে।
ওই সময় র্যাব জানায়, বরখাস্তকৃত এএসআই সালাউদ্দিন পুলিশের ডিউটির ধরন, মাদক বিরোধী অভিযানের পদ্ধতিসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কর্মকৌশল সম্পর্কে ধারণা থাকায় সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে সহজেই মাদক ব্যবসা করে আসছিল।