ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বান্ধবীর বিয়ের কয়েক মাস পরে তার সঙ্গে দেখা। দেখে আর চিনতে পারছেন না। ফুলেফেঁপে যেন ঢোল। চিরকাল স্লিম ফিগারের বান্ধবীর এমন শারীরিক পরিবর্তন দেখে আপনি অবাক। এরকমটি হয়ে থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। বিয়ের পরে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই ওজন বেড়ে যায়। কিন্তু পুরুষের বাড়তি ওজন চোখে তেমন না পড়লেও স্ত্রীর ক্ষেত্রে হয় উল্টো।
হঠাৎ এই ওজন বৃদ্ধির কারণ খুঁজতে শুরু করলে বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে আসবে। যেমন, বিয়ের পর মেয়েদের পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস, বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ওজন বাড়তে থাকে। কিছু নিয়ম মেনে চললেই বাড়তি ওজন আর স্থান পাবে না।
খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসে খুব বেশি পরিবর্তন আনা চলবে না। সঠিক সময়ে প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাসটা গড়ে তুলতে হবে। একেকটি পরিবারে খাওয়ার সময় একেকরকম হয়। তাই লজ্জা না করে বিয়ের আগে দিনের যে সময়গুলোতে খেতেন, সেই সময়গুলোতেই খাওয়ার চেষ্টা করুন। রাতের খাবার খুব বেশি দেরি করে না খাওয়াই ভালো।
ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে ভিটামিন বি সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন। নতুন পরিবেশে নতুন দায়িত্ব নেওয়ার প্রয়োজনীয় এনার্জি জোগান দেবে এই ভিটামিন বি।
শরীরে ক্যালসিয়াম কমে গেলে মোটা হয়ে যাওয়ার একটা প্রবণতা দেখা দেয়। সেই জন্য চা, কফি খাওয়া একটু কমিয়ে দেওয়াই ভালো।
ফিট থাকার নিয়ম মেনে না চললে অল্প কিছু দিনের মধ্যে আপনার চেহারায় বদল আসবেই। যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, প্রতিদিন অন্তত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট নিজের শরীরচর্চার জন্য বের করুন।
বিয়ের পর নানা জায়গায় পার্টি, খাওয়া-দাওয়া বা ঘোরাঘুরিটা অনেকটাই বেড়ে যায়। বলাই বাহুল্য যে অনিয়মও হয় প্রচুর। এই অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ করতে জানতে হবে আপনাকেই।
একজন ডায়েটিশিয়ান দেখিয়ে ডায়েট চার্ট তৈরি করে নিন এবং ঝটপট ওজন কমাতে সেটা মেনে চলুন।
গৃহিণী হলে ঘরেই চেষ্টা করুন পরিশ্রমের কাজগুলো করতে, বসে থেকে আলসেমী ধরতে দেবেন না।