ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ২০১৬ সালের নভেম্বরে এয়ারটেলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই লোকসানে পড়েছে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি।
এয়ারটেলের সঙ্গে যুক্তের দুই বছরে সব প্রান্তিকে লোকসান দিয়ে আসছে রবি। টানা সাত প্রান্তিক লোকসানের ধারাবাহিকতায় এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ৪৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা লোকাসান করেছে রবি।
জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে অপারেটরটির লোকসানের পরিমাণ ছিল একশত তিন কোটি টাকা। অথচ দুই বছর আগে ধারাবাহিকভাবে লাভ করছিল রবি।
এপ্রিল-জুন সময়ে অপারেটরটির মোট আয় ছিল এক হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। যা গত প্রান্তিকের তুলনায় এক দশমিক ৬ ভাগ বেশি।
জুনের শেষে অপারেটটির কার্যকর মোবাইল সংযোগের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৪৭ লাখ। যদিও মার্চের শেষেই এটা সাড়ে চার কোটির বেশি ছিল।
এখনকার মোট গ্রাহকের মধ্যে দুই কোটি ৬৬ লাখ সংযোগে ইন্টারনেট ব্যবহার হচ্ছে বলেও জানায় অপারেটরটি। আর সে কারণে ইন্টারনেট থেকে তাদের আয় বেড়েছে। অপারেটরটির মোট আয়ের ২৪ শতাংশ এখন আসছে ডেটা থেকে।
নেটওয়ার্কে বিনিয়োগ ও বর্ধিত বাজার সুদের হারের কারণে তাদের লোকসান হচ্ছে। তবে রবির মূল কোম্পানি আজিয়াটার আর্থিক প্রতিবেদন বলছে, গ্রাহক বৃদ্ধি এবং রাজস্ব আয়ে ধারাবাহিকতা না থাকায় লোকসানের অন্যতম কারণ।
ডেটার আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সামগ্রিকভাবে ডেটার ব্যবহারও বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে ফোরজি চালুর পর থেকে রবির গ্রাহকরা আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি ডেটা ব্যবহার করছেন। গড়ে একেকজন রবির গ্রাহক মাসে এক জিবি ডেটা ব্যবহার করছেন।
ডেটা ব্যবহার ভালো হলেও ভয়েস থেকে আয় কিছুটা কমেছে। লোকসানের মধ্যে থাকলেও এ সময়ে তারা সাড়ে পাঁচশ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে নেটওয়ার্ক উন্নত করার জন্যে।