ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’, ওরে নীল দরিয়া, পিচঢালা এই পথটারে ভালো বেসেছি এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী ছিলেন আব্দুল জব্বার। কিংবদন্তি এই শিল্পীর আজ প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন স্বাধীন বাংলার বেতার কেন্দ্রের এ শিল্পী।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে শিল্পী আবদুল জব্বারকে নিয়ে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ম্যাজিশিয়ান’স ফেডারেশন অব বাংলাদেশ। আলোচনায় অংশ নেন শিল্পী আবদুল জব্বারের স্ত্রী হালিমা জব্বার, তার কন্যা জেসমিন জব্বার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, কবি কাজী রোজী, শিল্পী খুরশিদ আলম প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম এ রব। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ এইচ রানা।
১৯৩৮ সালে ৭ নভেম্বর বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন আবদুল জব্বার। শৈশব থেকে সঙ্গীতের চর্চা শুরু করেন। তিনি মূলত আধুনিক গানের শিল্পী। সঙ্গীতকে ভালোবেসেই তিনি জীবনের পথ চলছেন। ষাট দশকে তিনি বিভিন্ন সঙ্গীতানুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে খ্যাতি অর্জন করেন।
শিল্পী আব্দুল জব্বার ১৯৫৮ সাল থেকে বেতারে গান গাওয়া শুরু করেন। চলচ্চিত্র প্লে-ব্যাক শুরু করেন ১৯৬২ সালে। ১৯৬৪ সালে বিটিভির নিয়মিত শিল্পীতে পরিণত হন। ১৯৬৮ সালে ‘এতটুকু আশা’ ছবিতে তার গাওয়া ‘তুমি কি দেখছ কভু, জীবনের পরাজয়’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
পরবর্তী সময় বাঙালির মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে এই শিল্পীর গাওয়া বিভিন্ন গান, আপামর মুক্তিপাগল ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা ও মনোবল বাড়িয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আব্দুল জব্বার পেয়েছেন অসংখ্য পুরষ্কার। যার মধ্যে রয়েছে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক, ১৯৮০ সালে একুশে পদক, ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা পদক।
আরও পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার, জহির রায়হান চলচ্চিত্র পুরষ্কার ও সিটিসেল চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস আজীবন সম্মাননাসহ অনেক পুরস্কার-সম্মাননা।