ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, নির্বাচনের পর বিএনপি স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠবে না নিশ্চিত করেই আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তফ্রন্ট। জাতীয় ঐক্যের মাধমে ক্ষমতায় আসতে পারলে দুই বছরের জন্য ক্ষমতা আমাদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে।
শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশে শাসনের একটা মডেল দেখাতে চাই। যেখানে কোন হানাহানি থাকবে না। দলবাজী থেকে মুক্ত করতে ক্ষমতার ভারসাম্যটা বড় করে দেখছি।সত্যিকার অর্থে দেশে সুশাসনের জন্য কাজ করব এবং কল্যাণ রাষ্ট্র করতে দেশের বেকার সমস্যা নিরসনে কাজ করে যাব।
বিএনপির এবং যুক্তফ্রন্টের ঐক্যের চেষ্টা কতদূর ? এ সম্পর্কে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এ ঐক্যের কাঠামোটা দৃশ্যমান হয়েছে, তবে এই মুহূর্তে এটা একটা বিরাট অর্জন।ঐক্য গড়ার পথে অনেক দূর এগিয়েছি আমরা। ঐক্য গড়ার ক্ষেত্রে প্রস্তাব ও দাবি নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়। তবে আমাদের ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। কারণ স্বৈরতন্ত্রের থাবা যতো তীব্র হচ্ছে মানুষের মুক্তির আকাক্সক্ষা ততো জোরালো হচ্ছে।
বেগম জিয়ার মুক্তির দাবি প্রধান হলে আমাদের মাঝে কিছুটা সমস্যা হতো। এখানে তার মুক্তির দাবি প্রধান নয়, দাবি নামার মধ্যে থাকলেই হলো। কেউ কেউ আবার বলেন, আইনগতভাবেই হোক আর যেভাবেই হোক উনি মুক্তির দাবিদার।
কেন মনে করছেন এই ঐক্য দেশের জন্য ভালো হবে? এ প্রশ্নের জবাবে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশ ধ্বংসের পথে চলে যাচ্ছে। কোন নির্বাচন ছাড়াই গায়ের জোরে রীতিমতো ক্ষমতায় থাকা হচ্ছে এবং সেই চক্রান্ত এখনও চলছে। এটা প্রতিহত করার জন্য এই উদ্যোগ। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এটার কোনো বিকল্প নেই। বিএনপি ও যুক্তফ্রন্টের দুই রকম চাওয়া রয়েছে। তবে সবাই একটা অংশগ্রহণমূলক ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার,বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে সংস্কার,সংসদ বহাল নির্বাচন, নির্বাচন দেখা, পরিচালনা, তত্ত্বাবধানে বিচারিক ক্ষমতাসহ সামরিক বাহিনীকে দায়িত্ব দিতে হবে। এই কয়টা ব্যপারে আমাদের একেবারেই অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি আছে।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি যদি মেনে না নেয় তাহলে কি পদক্ষেপ নিবেন? বিএনপি বা যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে যাবে কিনা?
এ বিষয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, অনেক পথ আছে। তবে আমরা নিরপেক্ষ একটা সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাই। তার জন্য আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মতো এবারের নির্বাচন হবে না।এইবারে আমরা নির্বাচনে থাকব, এবং জনগণ আমাদের সাথে থাকবে। আমরা যদি একসাথে ভোট করি, যে পরিস্থিতিতেই হোক না কেন, আওয়ামী লীগ ভোট করতে পারবে না। বিএনপি ১৯৯৬ সালে একবার একতরফা নির্বাচন করেছে। আবার ২০০৭ সালে ২২ জানুয়ারি আবার বিরোধী দলকে ছাড়া নির্বাচন করতে চেয়েছে, কিন্তু পারেনি। এখন সেই বিএনপিই বলছে তাদেরকে ছাড়া নির্বাচন করা যাবে না।