DMCA.com Protection Status
title="৭

স্বর্ণ থাকলেই প্রতি ভরিতে সরকারকে কর দিতে হবে ১,০০০ টাকা !

 

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  দেশে বর্তমানে যাদের কাছে স্বর্ণ আছে, তাদের কাছ থেকে প্রতি ভরিতে ১ হাজার টাকা করে কর নিতে চান অবৈধ হাসিনা সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। একই সঙ্গে প্রতি ভরি স্বর্ণ আমদানির ওপর ১ হাজার টাকা করে ভ্যাট আরোপ করতে চান তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদকে এসব কথা জানিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রী একটি চিঠি দেন। ওই চিঠি উদ্ধৃত করে একটি শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিক এমন তথ্য দিয়েছে।

চিঠিতে দেশে একটি স্বর্ণ নীতিমালা প্রণয়নেরও তাগিদ দেন অর্থমন্ত্রী। এবিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘স্বর্ণ নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। শিগগিরই এটা চূড়ান্ত করা হবে।’

অর্থমন্ত্রী চিঠিতে বলেন, দেশে কত পরিমাণ স্বর্ণ আছে, তার কোনো হিসাব নেই; হিসাবটি করাও যাবে না। আর এই হিসাব করতে গেলে স্বর্ণের বাজারমূল্য বিবেচনা করে একটি মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।

তবে তার আশঙ্কা, এই মূল্য নির্ধারণের ফলে যাদের কাছে স্বর্ণ আছে, তারা রাতারাতি ধনী হয়ে যাবে। এই বর্ধিত ধনের ওপর অবশ্য জুতসই লেভি (কর/খাজনা) নির্ধারণ করা যায়।

অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব করেন, লেভি হতে পারে প্রতি ভরিতে ১ হাজার টাকা। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) লেভির পরিমাণ ৩০০ টাকা ধরার অনুরোধ জানিয়েছে। তবে এত কমের পক্ষে নন তিনি।

চিঠিতে মুহিত বলেন, দেশে স্বর্ণ কেনাবেচা হয় ভরি, আনা ও রতি হিসেবে। যেমন ১৬ আনায় ১ ভরি ও ৪ রতিতে ১ আনা। কিন্তু আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ভরির কোনো অস্তিত্ব নেই। আর দেশীয় হিসাবে ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রামে ১ ভরি হয়।

তিনি বলেন, বিদেশ থেকে দেশে বেআইনিভাবে প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ আসে। সেগুলো আবার ভারতে পাচার হয়। এসব স্বর্ণের বড় একটি অংশ বাংলাদেশ থেকে যায়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাস্তবতা হলো আমাদের কোনো স্বর্ণ নীতিমালা নেই। গত সাত থেকে আট বছরে এক ফোঁটা স্বর্ণও আমদানি হয়নি। আমাদের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের স্বর্ণকে প্রায়ই নতুন করে বানানো হয়।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্মলগ্নে ১৯৭১ সালে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১৫০ টাকা ছিল। বাড়তে বাড়তে ১৯৮৪ সালে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয় ৪ হাজার ১০০ টাকা। বর্তমানে সেটা ১০ গুণের বেশি বেড়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রীকে স্বর্ণের নীতিমালা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ অবস্থায় দুটি কাজ করা যেতে পারে। এক. স্বর্ণের দাম আন্তর্জাতিক দামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা আর যাদের কাছে স্বর্ণ আছে তাদের ‘দৈব ধন অর্জনের’ ওপর প্রতি ভরিতে ১ হাজার টাকা আদায় করা। দুই. প্রতি ভরি স্বর্ণ আমদানির ওপর ১ হাজার টাকা ভ্যাট নির্ধারণ করা।

অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব করেন, ‘দৈব ধন অর্জনের’ ওপর দুই বছরের মধ্যে এবং দুই কিস্তিতে টাকা আদায় করা হবে। একই সময়ে স্বর্ণ ব্যবসাকে বৈধ ঘোষণা করা হবে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!