ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ নানা সতর্কতার পরেও হয়তো ডেঙ্গুজ্বর হয়েই গেল! কেন এমন হলো- এমনটা চিন্তা না করে বরং দ্রুত চিকিৎসা নিন। আবার শুধু চিকিৎসা নিলেই হবে না, মেনে চলতে হবে কিছু নিয়মও। তাহলে খুব তাড়াতাড়িই আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
জ্বরের কারণে মুখের রুচি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর তাতে করে আপনার কোনো খাবার খেতে ইচ্ছে করবে না। তবুও দিনের শুরুটা তাজা ফলমূল দিয়েই সূচনা করবেন। ফলমূল থেকে প্রচুর শক্তি পাবেন। জুস না খেয়ে লেবু, আপেল ইত্যাদি ফল সরাসরি খাবেন। সকালের নাস্তায় সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাবার খাবেন।
ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুসারে ঔষধগুলো সঠিক সময়ে গ্রহণ করুন। ঔষধ কেনার সময় মেয়াদ দেখে নেবেন।
একবারে অনেক খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে বারবার খাবার খাবেন। ঔষধ খাবার সময়েও আপনার পেট ভরা রাখা জরুরি। এতে ভাইরাসের বিরুদ্ধে দ্রুত শরীর সক্রিয় হবে।
বেশি করে পানি পান করুন। ডাবের পানি, বাসায় তৈরি ফলের জুস, চিনি ও লবণ পানি বা স্যালাইন শরীরকে আর্দ্র রাখবে। কিছু সময় বা প্রতি ঘণ্টায় মুখ ভেজা রাখতে একটু একটু করে হলেও পানি পান করবেন। এতে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যাবে।
সারাক্ষণ পানীয় খাবার খেলে হয়তো ঝাল খাবার যেমন সমুচা, চিপস, স্পাইসি খাবার খেতে মন চাইবে। কিন্তু এসব খাবার ভুলেও খাবেন না। কারণ আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যথেষ্ট হয়নি। তবে শুকনো খাবারের ক্ষেত্রে কিসমিস ও খেজুর খাবেন।
রাতের খাবার খাওয়ার উত্তম সময় হবে আটটার পূর্বেই। এতে রাতের খাবার ও ঘুমের মাঝে পর্যাপ্ত সময় পাবেন। ফলে সহজে খাবার পাচিত হবে। এতে পেটের কোনো রোগ থাকলে তা কোনো জটিলতার সৃষ্টি করতে পারবে না।
অধিকাংশ লোকই বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবনের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে প্রচুর পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার ও তরল খাবার যেমন স্যুপ খান। তবে চা, কফি পান করবেন না।
কয়েকদিনের অসুস্থতায় আপনার দুর্বল লাগতে পারে। তাই প্রচুর বিশ্রাম নেবেন। এসময় ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকবেন। তবে বিশ্রামের পূর্বে কোনো ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন থাকলে খেয়ে নেবেন।
আপনার ঔষধের কোর্স সমাপ্ত হওয়ার পরও ডাক্তারের কাছে যাবেন। আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ হলেও যাবেন। যদি আবারো রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে তবে পরীক্ষা করান। কারণ এই জ্বর আবারো ওঠার আশঙ্কা থাকে।
ডেঙ্গু জ্বরে আতংক না হয়ে ডাক্তারের কাছে যান। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সহজেই সুস্থ হওয়া যায়।