ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আগেরদিনই জানা গিয়েছিল মঙ্গলবার দেশে ফিরে আসছেন তামিম ইকবাল। কব্জির চোটের কারণে তিনি আর খেলতে পারছেন না এশিয়া কাপে। যদিও টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে তিনি যা করে দেখালেন, সেটা রীতিমতো বিস্ময়কর। দেশপ্রেম আর সাহসের অনুপম এক উদাহরণ।
মঙ্গলবার বিকেলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তামিম। সেখানেই মুখোমুখি হন সংবাদমাধ্যমের। নানা বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম জানালেন, কারও জন্য কিছু থেমে থাকে না। তিনি হয়তো একটা কারণে ফিরে এসেছেন। তবে, তার জায়গা পূরণের জন্য যারা রয়েছেন, তাদের সামনে এটা দারুণ একটা সুযোগ নিজেদের প্রমাণ করার।
শ্রীলঙ্কার বিদায়ের কারণে ইতোমধ্যেই সুপার ফোরে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের। তবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ২০ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এরপর ২১ সেপ্টেম্বর আবার রয়েছে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচ। তামিমের অনুপস্থিতিতে বাকিরা পারবেন তো? এমন প্রশ্ন যখন উঠছে, তখন তামিম জানিয়ে দিলেন, দল নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।
তামিম মনে করেন, কারও জন্য তো কিছু থেমে থাকে না। কেউ না কেউ জায়গা পূরণ করবেই। তিনি বলেন, ‘ওভাবে ভাবার কিছু নেই। ক্রিকেট এমনই একটা খেলা, যেখানে কারও জন্য কিছু থেমে থাকে না। আমি ইনজুরির কারণে খেলতে না পারলেও আমার জায়গায় আরেকজন এসে নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করবে। আমার জায়গায় যেই আসুক না কেন বেস্ট অব লাক জানাতে চাই। দলের কথা মাথায় রেখেই তারা পারফরম্যান্স করার চেষ্টা করবে।’
জুনিয়রদের নিজেদের প্রমাণ করার একটা বড় সুযোগ বলে মনে করেন তামিম। তিনি বলেন, ‘এখানে যদি ইতিবাচক দিক নিয়ে চিন্তা করেন তাহলে জুনিয়রদের এগিয়ে আসার সুযোগ আছে। এখন দু’জন জুনিয়র ওপেন করবে। তাদেরও দায়িত্বের ব্যাপার আছে। আমি বিশ্বাস করি এখান থেকে তারা অনেক কিছু শিখতে পারবে। সামনে যে চারটা-পাঁচটা ম্যাচ আছে সেটা তাদের জন্য সুযোগ নিজের জায়গা পাকা করার জন্য।’
তামিম মনে করেন, ফাইনালের চিন্তা না করে ম্যাচ বাই ম্যাচ নিয়ে চিন্তা করা উচিৎ। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না কোনো একজন খেলোয়াড়ের জন্য পুরো দলের পারফরম্যান্স পরিবর্তন হয়ে যাবে। এটা উচিৎও না। আমরা যেভাবে শুরুটা চেয়েছিলাম সেটা পেয়েছি। আশা করি পুরো টুর্নামেন্টেই এভাবেই আমরা খেলবো। আর চ্যাম্পিয়ন হবো কি হবো না অতোদূর না ভেবে সামনে ২০ তারিখে কী হবে, ২১ তারিখে কী হবে সেগুলো নিয়ে যদি চিন্তা করি তাহলেই আমাদের জন্য ভালো।’