ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিজয় চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি, এখন আমাদের উচিত হবে শেষ মুহুর্তে সমালোচনা কান না দিয়ে, আন্দোলন নামক অস্ত্র ব্যবহার করা।
বুধবার ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে ইভিএম বর্জন, জাতীয় নির্বাচন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রফেসর এমাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সামনে কঠিন দিন, বিএনপির ইমার্জং টাইগার হয়ে আবার ফিরে আসুক তাহলেই কেবল হাসিনা সরকার পতন সম্ভব।
তিনি বলেন,আমাদের বিজয় ছিনিয়ে আনতে হলে উচিত হবে যতোক্ষন পর্যন্ত না আমাদের বিজয় নিশ্চিত না হয় ততোক্ষণ পর্যন্ত রাস্তায় থাকা। আর এই ধারণা সকলের মাঝে ধারন করতে হবে। তবেই কেবল বিজয় সুনিশ্চিত।
সাবেক এ ভিসি বলেন, সরকার ঐক্য প্রক্রিয়ায় ভীত সন্ত্রস্ত , তাদের কথায় শালীনতা নেই, ইতিমধ্যে হিসেব করে কথা বলার চেতনাও তারা হারিয়ে ফেলেছে। তারা জানে জাতীয় ঐক্যের সামনে তারা ঠিকবে না।
জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য যেনো অক্ষুণ্ণ থাকে সে জন্য আমাদেরকে ৮৮ হাজার গ্রামে ছড়িয়ে দিতে হবে। এবং এই জাতীয় ঐক্যকে কাজে লাগিয়ে এই সরকারকে পতন ঘটাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকার যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন। সামনে আমাদের সময় আসছে। বেগম খালেদা জিয়া তার পছন্দ মতো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন। একই সাথে আমাদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।
এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ৫ বছরে যতো নিয়োগ কোন মেধাভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র সরকারের আনুগত্য লোকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের দাবি হবে ইস্তেহার ঘোষনার আগে, সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে এবং সামরিক কর্মকর্তাদের প্লোলিং সেন্টারের কর্তৃত্ব থাকতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি শাহ মোঃ আবু জাফর ,
জিনাফ সভাপতি লায়ন মিয়া মোঃ আনোয়ার , ছাত্রদলের সহ সম্পাদিকা আরিফা সুলতানা রুমা,জিয়া শিশু কিশোর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন চৌধুরী, আয়োজক সংগঠনের সহ সভাপতি নাজমুল হোসেন রনি, এড. আব্দুর রহিম প্রমুখ।