ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ নতুন মৌসুমের শুরুতেই একের পর এক ব্যর্থতায় অনিশ্চয়তার দোলাচলে দুলছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ হোসে মরিনহোর ভাগ্য। টানা চার ম্যাচ জয়বঞ্চিত থাকা দল নিয়ে ধুঁকছিলেন নিউক্যাসলের বিপক্ষে শনিবার রাতের ম্যাচেও।
তবে একদম শেষ মুহূর্তে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-০তে পিছিয়ে থেকেও ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মরিনহোর শিষ্যরা। একইসাথে স্বস্তির বাতাস বয়ে গেছে মরিনহোর মনে।
ঘরের মাঠে নিউক্যাসলের বিপক্ষে হারই চোখ রাঙানি দিচ্ছিল ম্যান ইউকে। ম্যাচের প্রথমার্ধেই দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে। যা শোধ করতে হয় অপেক্ষা করতে হয় দ্বিতীয়ার্ধের ৭০ মিনিট পর্যন্ত।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটে বল পায়ে ডি-বক্সে ঢুকে জোরালো কোনাকুনি শটে নিউক্যাসলকে এগিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার কেনেদি। মিনিট তিনেক পরে সতীর্থের ক্রস ডি-বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জাপানের ফরোয়ার্ড ইয়োশিনোরি মুতো।
দুর্দান্ত খেলেও গোল পাচ্ছিল না ম্যান ইউ। অবশেষে ম্যাচের ৭০তম মিনিটে হুয়ান মাতার গোলে ব্যবধান কমায় ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। মিনিট ছয়েক পরে সমতা আনেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড অ্যান্থনি মার্শিয়াল।
ম্যাচ যখন ড্রয়ের পথে তখন একদম শেষদিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পক্ষে ম্যাচের জয়সূচক গোলটি করেন চিলির ফরোয়ার্ড অ্যালেক্সিস সানচেজ। স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
আট ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের অষ্টম স্থানে রয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। অবনমন অঞ্চলের দল নিউক্যাসল ইউনাইটেডের পয়েন্ট ২। একটি করে ম্যাচ কম খেলা ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুলের পয়েন্ট ১৯। গোল ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে সিটি।