ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ চিন্হিত এবং সাজাপ্রাপ্ত খুনী ও দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে ড. কামাল ঐক্য করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ড. কামাল সন্ত্রাস ও মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে কথা বলেন। আন্তর্জাতিক মানের আইনজীবী হয়ে খুচরা সব দল মিলে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করেছেন। খালেদাকে নেত্রী বানিয়েছেন। কারাদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী তারেক জিয়াকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মেনে নিয়েছেন। ঐক্যের নামে সবাই মিলে খুনীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ রোববার মাদারীপুর কাঁঠালবাড়ী ইলিয়াছ আহমেদ চৌধুরী ঘাটে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে জনগণ নৌকায় ভোট দিয়েছে।
ধানের শীষে ভোট দেয় নাই। নৌকা মানেই উন্নয়ন। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। উন্নয়ন তাদের চোখে পড়ে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের উন্নয়ন হলো দুর্নীতি, মানি লন্ডারিংয়ের উন্নয়ন। ড. কামাল নৌকা থেকে নেমে ধানের শীষের মুঠি ধরেছে। যে ধানে চিটা ছাড়া কিছু নেই। ঐ কামালও কালো টাকা সাদা করেছেন। খালেদা জিয়াও কালো টাকা সাদা করেছে। মানি লন্ডারিং করেছে। তাদের সঙ্গে ঐক্য করেছে। রতনে রতন চিনে শিয়ালে চিনে কচু।
শেখ হাসিনা বলেন, এখন ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে সব ঘরে আলো জ্বলবে। কোনো ঘরে অন্ধকার থাকবে না। আওয়ামী লীগ পারে, করবে।
এর আগে আজ সোয়া ১১টার দিকে তিনি পদ্মাপাড়ের মাওয়া প্রান্তে পৌঁছান। এরপর ১১টা ১৭ মিনিটে তিনি পদ্মাসেতুর নামফলক উদ্বোধন করেন। সরেজমিনে তিনি পদ্মা বহুমুখী সেতুর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর নামফলক উম্মোচনের পাশাপাশি এন-৮ মহাসড়কের ঢাকা-মাওয়া এবং পাঁচ্চর-ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি পরিদর্শন, পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন, মূল নদী শাসন কাজ সংলগ্ন স্থায়ী নদী তীরে প্রতিরক্ষামূলক কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান উপস্থিত রয়েছেন। এরপর মাওয়া টোলপ্লাজা সংলগ্ন গোলচত্বরে সূধী সমাবেশে যোগ দেবেন।