ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ নবগঠিত জোটের দাবি ও লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের ব্রিফ করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটা থেকে সোয়া চারটা পর্যন্ত রাজধানীর হোটেল লেক শোরে কূটনীতিকদের ব্রিফ করা হয়।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা ও ১১ লক্ষ্যের বিষয়ে কূটনীতিকদের অবহিত করেন। এ সময় এই জোটের নেতারা কূটনীতিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইইউভুক্ত দেশগুলোসহ প্রায় ২৫টি দেশের কূটনীতিক ও তাঁদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
এ সময় রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ, নজরুল ইসলাম খান, মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেন, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, তাঁর স্ত্রী তানিয়া রব, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গতকাল বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে জোটের লক্ষ্য ও দাবির বিষয়ে কূটনীতিকদের ব্রিফ করার সিদ্ধান্ত হয়।
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে রাত সাড়ে ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের বৈঠক চলে। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
গত ১৩ অক্টোবর গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এই ফ্রন্টের ঘোষণায় নির্বাচনের আগে হাসিনা সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিয়ে সর্বদলীয় গ্রহণযোগ্য সরকার গঠন এবং খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তির দাবি জানানো হয়।