বাংলাদেশের ক্রিকেটে সেরা প্রতিভা বলা হতো তাকে। টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ট সেঞ্চুরিয়ানের রেকর্ডটা এখনও পর্যন্ত দখল করে রেখেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। বাংলাদেশের শুরুর দিকের সাফল্যের অধিকাংশেরই নির্মাতা ছিলেন এই অমিত সম্ভাবনাময়ী ক্রিকেটার। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ২০১৩ সালে এই বিপিএলে ফিক্সিং করে নিষিদ্ধ হলেন তিনি।
৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গত আগস্টেই মুক্তি পেয়েছেন আশরাফুল। যদিও আরও এক বছর আগে থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অনুমতি পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং ফ্রাঞ্জাইজি ক্রিকেটে ঠিকই নিষিদ্ধ ছিলেন। অবশেষে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়ার পরই বিপিএলসহ সব ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট এবং জাতীয় দলে ফেরার সব দরজা উন্মুক্ত হয়ে গেলো তার সামনে।
সে হিসেবেই বিপিএলের ৬ষ্ঠ আসরের জন্য প্লেয়ার ড্রাফটে নাম উঠলো আশরাফুলের এবং শেষ পর্যন্ত দলও পেয়ে গেলেন তিনি। চিটাগাং ভাইকিংস ১৮ লাখ টাকা কিনে নিলো আশরাফুলকে।
বিপিএলে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে দুপুর ১২টায় ড্রাফট শুরু হওয়ার পর ৬টি কল হয়ে গিয়েছিল। কোনো ফ্রাঞ্চাইজি আশরাফুলকে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেনি। শেষ পর্যন্ত ৭ম কলে এসে চিটাগাং ভাইকিংস কিনে নিলো সাবেক এই অধিনায়ককে।
বিপিএলের মধ্য দিয়েই এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পথে আরেকধাপ এগিয়ে গেলেন বর্তমানে এনসিএলে ঢাকা মেট্রোপলিশের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করে যাওয়ার ফলেই আগামী বিপিএলে দল পেয়ে গেলেন তিনি।