ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস চৌষট্টিতে পা দিলেন। ১৯৫৫ সালের ২৮ অক্টোবর বিল গেটস ওয়াশিংটনের শিয়াটলে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম উইলিয়াম হেনরি গেটস।
শিয়াটলের লেক সাইড স্কুলে পড়ার সময় থেকেই বন্ধুত্ব হয় সদ্যপ্রয়াত মাইক্রোসফটের আরেক সহ-প্রতিষ্ঠাতা পল অ্যালেনের সঙ্গে। তখন থেকেই দুজনের মাথায় কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরির বিষয়ে চিন্তা কাজ করতে থাকে।
১৯৭৩ সালে স্কুলজীবন শেষ হলে বিল গেটস ভর্তি হন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু শেষ করতে পারেননি নিজের পড়াশোনা। সফটওয়্যার তৈরির নেশা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রপ আউট হতে বাধ্য করে। তাকে অবশ্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ড্রপ আউট হিসেবে গণ্য করা হয়।
অথচ তিনিই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্যাট পরীক্ষায় ১৬০০ নম্বরের মধ্যে ১৫৯০ পেয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাম কাটানোর পর পল অ্যালেনের সঙ্গে প্রতিষ্ঠা করেন মাইক্রোসফট।
তবে এর শুরুটা দুজনে করেছিলেন ১৯৭২ সালে। সে বছর তারা নিজেদের তৈরি সফটওয়্যার দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন একটি কোম্পানি। নাম দেন ‘তারাফ-ও-ডেটা’। এটির নামই পরে দেয়া হয় মাইক্রোসফট।
ধীরে ধীরে বড় হতে থাকা মাইক্রোসফট রূপ নেয় বড় প্রতিষ্ঠানে। একটা সময় বিশ্বের সেরা ধনীর তালিকাতে স্থান করে নেন বিল গেটস। শুধু যে তিনি ধনীই হয়েছেন এমন নয়। দান করেছেন দুহাত খুলে।
তিনি গড়ে তোলেন ‘মালিন্দা গেটস ফাউন্ডেশন’। সেখান থেকেই ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়তে ৫ হাজার কোটি ডলারের বেশি দান করেছেন। এ ছাড়াও তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোতে শত শত কোটি ডলার সহায়তা করে চলেছেন।
৬৩তম বছরে পা দেয়া বিল গেটসের অন্যতম নেশা বই পড়া। তিনি যখনই সময় পান তখনই বই পড়েন। সে বিষয়গুলো নিয়ে তিনি লেখেন তার ব্যক্তিগত ব্লগে। সর্বশেষ তিন গত ২২ সেপ্টম্বর থাইল্যান্ডের কনডম কিং হিসেবে পরিচিত সমাজকর্মী মিচাই ভিরাভাইদাকে নিয়ে একটা নোট লেখেন ব্লগে।
বর্তমানে বিল গেটস মাইক্রোসফটের কারিগরি উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, বিল গেটসের সম্পদের পরিমাণ ৯৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।