ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নতুন সাজার ঘটনা সংলাপের পথে বাধা নয়।তবে তার সাজা প্রসঙ্গে সংলাপে আলোচনাতেও বাধা নেই।
তবে সংলাপের ফল কী হবে তা নিয়ে আগাম মন্তব্য করব না। বুধবার সচিবালয়ে জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেন হোল্টজ ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি আন বোখতার সঙ্গে বৈঠকের পর এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি জানান, দুই রাষ্ট্রদূতই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংলাপ উদ্যোগকে ইতিবাচক বলেছেন। তারা আশাবাদী সংলাপের মাধ্যমে একটি ভাল নির্বাচন হবে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সাত বছর সাজা হয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আপিলে খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বেড়ে ১০ বছর হয়েছে। গত সোমবার দেওয়া হাইকোর্টের এ রায়ে সংলাপের ফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'এ রায় আওয়ামী লীগ সরকার দেয়নি। প্রধানমন্ত্রীও দেননি। আইনি বিষয়ের সঙ্গে সংলাপের সম্পর্ক নেই। তবে এ বিষয়টি নিয়ে সংলাপে আলোচনার পথে বাধা নেই।'
আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় বসতে গত রোববার ড. কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট চিঠি দেয় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে। পরের দিনই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সংলাপের ডাক পায় বিএনপি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য ও ও জেএসডিকে নিয়ে গড়া ঐক্যফ্রন্ট। নতুন এ জোটের প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেবে। আলোচনায় বসতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সাড়া পেয়েছে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি এবং এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর যুক্তফ্রন্টও।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শুধু ঐক্যফ্রন্ট বা যুক্তফ্রন্ট নয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অন্যান্য দলের সাথেও তিনি সংলাপে বসতে রাজি। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে আন্তরিক। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তার আগেই সংলাপ শেষ হবে আভাষ দেন তিনি।
ঐক্যফ্রন্ট সংলাপে তাদের সাত দফা নিয়ে আলোচনা করতে চায়। তবে সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো চিঠিতে বলা হয়েছে 'সংবিধান সম্মত' বিষয়ে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর দ্বার উন্মুক্ত। ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবির কিছু বিষয় সংবিধানের সঙ্গে মেলে না। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংলাপে যা নিয়ে আলোচনার সুযোগ আছে, তাই নিয়ে কথা হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তার দল সংলাপের পক্ষে ছিল না। প্রধানমন্ত্রী দূরদর্শী নেতা, তিনি যা সঠিক মনে করেছেন তার সঙ্গে দলও অভিন্ন মত প্রকাপ করেছে। সংলাপকে দলমত নির্বিশেষে বেশিরভাগ মানুষ সমর্থন দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হচ্ছে।