ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ দেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় বর্তমানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি, মাত্র কয়েকদিন আগে অবৈধ হাসিনা সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমন মন্তব্য করেছিলেন।
এর পরও রাজনৈতিক বিবেচনায় আরও একটি ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আরও তিনটির অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন— এ বিষয়ে গতকাল অর্থমন্ত্রী বলেন,প্রবল চাপে এসব ব্যাংক অনুমোদনে সুপারিশ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। তবে এসব ব্যাংকের অনুমোদনে তিনি খুশি নন।
গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন তিনি।
ইআরএফের সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলালের নেতৃত্বে এ সময় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অর্থমন্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এভাবে ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ায় আমি (ভেরি আনহ্যাপি) খুবই অখুশি। এসব ব্যাংক খুব সত্তর মার্জার (একীভূত) শুরু হবে। এ সময় নতুন ব্যাংক দেওয়ার কোনো দরকার ছিল না।
তাহলে দেওয়া হচ্ছে কেন— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, পলিটিক্যাল গ্রাউন্ডে দেওয়া হচ্ছে। এর আগে একজন সাবেক মন্ত্রীকে ব্যাংক দেওয়ার অভিজ্ঞতা ভালো নয় আবার একজন মন্ত্রীর আত্মীয় ব্যাংক পেতে যাচ্ছেন এতে পুনরায় খারাপ অভিজ্ঞা আসবে কিনা— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অনেক মিনিস্টারই ব্যাংকের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সংখ্যা বেশি হওয়ায় ব্যাংকগুলো একীভূত করা হবে। এজন্য আইন ঠিকঠাক করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় এলেই একীভূতের কাজ শুরু হবে। যদি অন্য কেউ আসে তাহলে তাদেরও ব্যাংক সংস্কারের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিয়ে যাব।’
এদিকে ২৪ অক্টোবর সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, বর্তমানে ভালো তবে ব্যাংকিং খাত খুব বেশি বড় হয়ে গেছে। অনেক ব্যাংক অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দুটোই বেশি। এটা মনে হয় একটু সীমিতকরণ (কনসুলেশন) দরকার হতে পারে।