ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সাতক্ষীরার তালা উপজেলার একমাত্র সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চার লক্ষধিক মানুষের সেবার বিপরীতে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ৫ জন। প্রতিদিন কয়েকশ রোগী দেখতে হিমসিম খেতে হয় ডাক্তারদের। তাছাড়া আউটডোরে রোগী দেখেন মাত্র তিনজন চিকিৎসক।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে জনবল সঙ্কটে নষ্ট হচ্ছে এক্স-রে, ইসিজি, জেনারেটরসহ কোটি টাকার সারঞ্জাম। হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কট, ওষুধ সঙ্কট, নোংরা শৌচাগার, খাবার পানির সঙ্কট এমনকি অ্যাম্বুলেন্সটিও জরাজীর্ণ।
হাসপাতালের চিকিৎসক শাহারুল ইসলাম জানান, তালা উপজেলা একটি বড় এলাকা। প্রতিদিন শত শত মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিতে হাসপাতালে আসেন। কিন্তু আউটডোরে মাত্র তিনজন চিকিৎসক সেবা প্রদান করছি। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। একদিকে যেমন চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম খেতে হয় অন্যদিকে রোগীরাও সেই কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হয়।
তিনি আরও বলেন, জনবলের অভাবে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারটিও চালু নেই। কোটি টাকার সারঞ্জাম অকেজো হয়ে পড়ছে। কোনো রোগী এলে বাধ্য হয়েই রেফার্ড করতে হয় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল বা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আমাদের কিছুই করার থাকে না।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রাজীব সরদার বলেন, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ৩৩ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ৫ জন। তাছাড়া জনবল সঙ্কটে অকেজো হয়ে পড়েছে অপারেশনসহ অন্যান্য বিভিাগ।
এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে জনবল সঙ্কটের কারণে সুবিধা নিচ্ছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো। পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।
তালার ইসলামকাটি ইউনিয়নের ঘোনা গ্রামের বাহারুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে প্রয়োজনীয় কোনো কিছুই নেই। এক্সরে নেই। পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। সামান্য কোনো বিষয় নিয়ে গেলেও সেখান থেকে পাঠিয়ে দেয়া হয় পার্শ্ববর্তী ক্লিনিক বা অন্য কোথাও। ধনীরা অন্য জায়গায় গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিলেও সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কুদরত-ই-খূদা জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে।