DMCA.com Protection Status
title="৭

কত আমালের প্রাণ গেলে হুঁশ ফিরবে যুদ্ধবাজদের?

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ এক কথায় নিঃস্ব। যুদ্ধ কেড়ে নিয়েছে ঘর, চাকরি, ভালবাসা আর প্রিয়জনের জীবন। পেটে খাবারের কণা মাত্র নেই। কার্যত দুর্ভিক্ষের মুখে ইয়েমেনের প্রায় ৩ কোটি মানুষ। এর মধ্যে ৮০ লাখ মানুষের তো পেটে কোনও খাবারই নেই। ত্রাণ শিবির থেকে যেটুকু মেলে, তাতে একজনের বেশি পেট পুড়ে খেতে পারে না।

সাত বছরের কঙ্কালসার শিশু আমাল হুসেনের মৃত্যুর পরও কী চোখ খুলবে না যুদ্ধবাজদের। এভাবে কত আমালের মৃত্যু হলে হুঁশ ফিরবে তাদের? তাদের দিকে প্রশ্ন ছুড়লেও উত্তর ফিরে আসে না।

alam

সৌদি ও ইরান পরস্পরের যুদ্ধে ধূলিসাৎ পুরো ইয়েমেন। ঘর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক কোটি মানুষ। কিন্তু তাদের না আছে উপযুক্ত বাসস্থান না কোনও কর্মসংস্থান।

তা হলে কীভাবে দিন পার করছেন তারা? ইয়া হুসেনের গল্পটা জানা যাক। অস্থায়ী বাড়িতে ঠাঁই হয়েছে তার। উত্তর ইয়েমেনের নিজেদের গ্রাম থেকে যখন পালিয়ে আসেন, তখন তার পাঁচ মাসের সন্তান অপুষ্টিতে মারা যায়।

alam

এখন বাকি ৪ সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে একটি শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন হুসেন। সারা দিনে সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে পারছেন না তিনি। দারিদ্রের গ্রাসে কীভাবে হারিয়ে যাচ্ছে নিষ্পাপ শিশুরা। তারা খাচ্ছে, লবন পানিতে ডুবিয়ে শুকনো রুটি।

alam

কোনও দিন বা আঙুর পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে তার রস। এই ধরনের খাবারকে হালাস বলে। ইয়েমেনে হালাস খুবই জনপ্রিয় খাবার। কিন্তু দুর্ভিক্ষের সময় এটাই প্রধান খাদ্য হয়ে উঠেছে তাদের।

ইয়েমেন সীমান্তে দিনের পর দিন গোলাগুলি চলায় অাল-শাদার গ্রামবাসীরা ঘর ছাড়া হয়েছেন। প্রায় ৩ কোটি মানুষ শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!