ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মন্ত্রী ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদার রিট আবেদনে হাই কোর্ট এর আগে যে রুল জারি করেছিল, রোববার তা যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেয় বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাই কোর্ট বেঞ্চ।
নাজমুল হুদা নিজেই আদালতে রুলের ওপর শুনানি করেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আশানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম। আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।
আইনজীবী আশানুর রহমান পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রায়ে অবিলম্বে তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
এই রুলের শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান ও আইনজীবী শাহদীন মালিকের মতামত শোনে আদালত।
বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়ে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) নামে তিনটি দল গড়েছিলেন নাজমুল হুদা। এই হিসেবে তৃণমূল বিএনপি তার চতুর্থ দল।
তৃণমূল বিএনপির নিবন্ধনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন কমিশন গত ১৪ জুন একটি চিঠি দেয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের আবেদন না করা, সরকার নির্ধারিত ফির চালান জমা না দেওয়া ও নিবন্ধন দেওয়ার মত তথ্য না থাকার কারণ দেখানো হয় সেখানে।
নির্বাচন কমিশনের ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন নাজমুল হুদা। সেই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট গত ১৪ অগাস্ট রুল জারি করে।
তৃণমূল বিএনপিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চওয়া হয় ওই রুলে। সেই সঙ্গে দলটিকে নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয়।
সেই রুলের ওপর শুনানি শেষে রোববার হাই কোর্ট নাজমুল হুদার পক্ষেই রায় দিল।