ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং অবৈধ হাসিনা সরকারের সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা কোনো অবস্থাতেই সংবিধানের বাইরে যাব না। তবে সুন্দর পরিবেশে আমাদের মধ্যে মন খুলে আলোচনা হয়েছে।
বুধবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সংলাপ শেষে গণভবন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সরকারের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
‘কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট চেয়েছে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে। এই প্রস্তাব সংবিধানের বাইরে হওয়ার কারণে এটি মানার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, এটি নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার একটি বাহানা। এই পিছিয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে ফাঁকফোকর হয়তো খুলে দেয়া হচ্ছে। যেখান দিয়ে তৃতীয় কোনো অপশক্তি এসে ওয়ান ইলেভেনের মতো সেই অনভিপ্রেত অস্বাভাবিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। আমরা সবাই মনে করছি।
‘এ ছাড়া তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও রাজবন্দিদের মুক্তি চেয়েছেন। এ বিষয়ে তাদের দাবি মেনে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই,’ বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর মেজিস্ট্রেসি পাওয়ার নিয়ে তারা যা বলেছেন, তা আমাদের দেশে চালু নেই। তবে সেনাবাহিনী টাস্কফোর্স হিসেবে থাকবে, স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত থাকবে।
তারা বেগম জিয়ার মুক্তি ওইভাবে চাননি এবং জামিন চেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বলেছি-তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালে এ মামলা করেছে। এটি আগেই নিষ্পত্তি করা যেত, কিন্তু তারা দেরি করেছেন। এখন আদালত তাকে দণ্ড দিয়েছেন।
‘তারা আদালতের কাছে জামিন চাইতে পারেন, আদালত যদি তাদের জামিনে মুক্তি দেন, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের সাত দফার অধিকাংশ দাবি মেনে নিতে আমাদের নেত্রী সম্মত হয়েছেন।