DMCA.com Protection Status
title="৭

শেষ পর্যন্ত প্রহসনের জাতীয় নির্বাচনের তফসীল ঘোষনা-২৩শে ডিসেম্বর’১৮ ভোটগ্রহন।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃঅবৈধ হাসিনা সরকারের বংশবদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন,  একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট নেয়া হবে আগামী ২৩ ডিসেম্বর।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নির্বাচনের এই দিন ঘোষণা করেন।

 

‘দেশব্যাপী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুকূল আবহ সৃষ্টি হয়েছে’ দাবি করে সিইসি বলেন, ‘সংসদ নির্বাচর ঘিরে সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহের জাগরণ ঘটে। তাদের বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা আর উচ্ছ্বাসে গোটা দেশ উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। রাজনীতিবিদদের কৌশল প্রণয়ন, প্রার্থীদের নির্ঘুম প্রচারণা, সমর্থকদের জনসংযোগ, ভোটারদের হিসাব-নিকাশ, হাট-বাজারে মিছিল-স্লোগান, প্রশাসনে রদ-বদল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক প্রস্তুতির ঘটনা ঘটে। ভোটের দিনে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার মধ্যে আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।’

তিনি বলেন, ২০১৮ সাল সেই নির্বাচনের একটি বছর। নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে। সুশীল সমাজ মতামত প্রকাশ অব্যাহত রেখেছে।

সিইসি বলেন, জাতির এমন উচ্ছ্বসিত প্রস্তুতির মধ্যখানে দাঁড়িয়ে আমি প্রত্যাশা করব, অনুরোধ করব এবং দাবি করব, প্রার্থী এবং তার সমর্থক নির্বাচনী আইন ও আচরণবিধি মেনে চলবেন। প্রত্যেক ভোটার অবাধে এবং স্বাধীন বিবেকে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।

তিনি বলেন, ভোটার, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, প্রার্থীর সমর্থক ও এজেন্ট যেন বিনা কারণে হয়রানির শিকার না হয় বা মামলা-মোকদ্দমার সম্মুখীন না হয়, তার নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর কঠোর নির্দেশ থাকবে। দল ও মত নির্বিশেষে সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, ধর্ম, জাত, বর্ণ, নারী ও পুরুষভেদে সকলে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। ভোট শেষে নিজ নিজ বাসস্থানে নিরাপদে বসবাস করতে পারবেন।

এর আগে, বেলা ১১টায় বৈঠক করে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে ইসি। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সিইসির কক্ষে বৈঠকটি হয়। দুপুরে কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘সবকিছু ঠিকঠাক, এখন শুধু অপেক্ষা।’

বৈঠক শেষে সিইসির কক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণটি রেকর্ড করা হয়। এজন্য সকাল থেকে বিটিভি, বেতারের রেকর্ডিং টিম ইসিতে অবস্থান করে।

প্রসঙ্গত, সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর থেকে নির্বাচনকালীন সময়ের ক্ষণ-গণনা শুরু হয়।

তবে ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর ছিল নির্বাচন কমিশন। এজন্য ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি জানায় ইসি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!