DMCA.com Protection Status
title=""

শেখ হাসিনাকে নিয়ে চলচ্চিত্র ‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’ মুক্তি পাচ্ছে আজ।

দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ আজ শুক্রবার থেকে দেশের চারটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাধারণ জীবনের অসাধারণ গল্প নিয়ে নির্মিত ‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’।

ডকুড্রামাটি মুক্তির আগে তিনটি বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) ও অ্যাপেল বক্স ফিল্মস। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ও রাতের দুটি প্রিমিয়ার শোতে আমন্ত্রিত অতিথিরা ডকুড্রামাটি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। সংগ্রামী শেখ হাসিনার কষ্টের গল্পগুলো দেখে কেউ কেউ নীরবে কেঁদেছেন। আবার সাদামাটা শেখ হাসিনাকে দেখে বিস্মিত হয়েছেন।

‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’ ডকুড্রামাটি সিআরআই ও অ্যাপেল বক্স—এই দুটি প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে। ডকুড্রামায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার বয়ানে তাঁদের পরিবারের নানা দিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন পিপলু।
‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’ তথ্যচিত্রের দৃশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
বৃহস্পতিবারের প্রিমিয়ারে বিকেল পাঁচটা থেকেই অতিথিরা ভিড় করেন বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে। প্রিমিয়ারে মন্ত্রী, সাংসদ, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নির্মাতা, ছোট-বড় পর্দার অভিনেতা-অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র ও গানের মানুষেরা উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের পক্ষে প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে ছিলেন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।

‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’ দেখে মুগ্ধ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘এটি অভূতপূর্ব ও কালোত্তীর্ণ একটি তথ্যচিত্র। এটা শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে নয়, একজন মানুষের জীবনের নানা দিক এখানে প্রতিফলিত হয়েছে। অত্যন্ত সার্থক একটি ছবি। নতুন করে অনেক কিছু জানলাম। হৃদয় স্পর্শ করা একটি তথ্যচিত্র।’

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমার এই সত্তর বছর বয়সে পর্দায় যা কিছু দেখেছি, “হাসিনা: এ ডটারস টেল” দেখার মতো অভিজ্ঞতা আমি পাইনি। এটা অসাধারণ একটি বায়োপিক।’ 

ডকুড্রামাটি দেখার পর চলচ্চিত্র, গান ও টেলিভিশন নাটকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা ফেসবুকে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে আসা অতিথিরা প্রেক্ষাগৃহ থেকে বের হয়েছেন মুগ্ধতা নিয়ে।

‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’ তথ্যচিত্রের শুটিং। ছবি: সংগৃহীতঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, মধুমিতা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে প্রদর্শিত হচ্ছে ‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’। এসব প্রেক্ষাগৃহের মধ্যে ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স প্রতিদিন পাঁচটি করে প্রদর্শনীর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্লকবাস্টার সিনেমাসে আজ একটি প্রদর্শনী থাকলেও সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে দুটি করে প্রদর্শনী চলবে। মধুমিতায় আজ চারটি প্রদর্শনী হবে। সপ্তাহের অন্যান্য দিনে হবে তিনটি করে প্রদর্শনী। চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে প্রতিদিন দুটি করে প্রদর্শনী হবে।

‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’ ডকুড্রামায় আবহসংগীতের কাজ করেছেন ভারতের দেবজ্যোতি মিশ্র। তিনি গতকাল প্রিমিয়ার শোতে ছিলেন। সবশেষে উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অনেক বেশি মানুষের কাছে ছবিটি পৌঁছে যাওয়া দরকার। ছবিটি দেখার ব্যাপারে সবাইকে আপনারা আহ্বান করুন। এ ধরনের একটি ছবিতে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য পিপলুকে ধন্যবাদ।’ 

‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’ তথ্যচিত্রের পোস্টার। ছবি: সংগৃহীতডকুড্রামাটি প্রসঙ্গে পিপলু বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমাদের পাঁচ বছরের পরিশ্রমে এ ছবিটি বানাতে পেরেছি। যদিও শুরুতে এমন কিছু করার কথা ভাবিনি। শুরুতে আমরা চেয়েছি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মগুলো ধারণ করে রাখব। দুই বছর পরে এসে মনে হলো, এটা নিয়ে অসাধারণ কিছু করা যায়। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর পুরো জীবন এত বেশি ড্রামাটিক, সেটা সবাই জানেন। এখানে আমি তাঁর জীবনের সেই ছোট ছোট গল্পগুলো এক সুতোয় বাঁধার চেষ্টা করেছি।’

গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডকুড্রামাটির ট্রেলার প্রকাশিত হওয়ার পর তা ভাইরাল হয়। চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট থেকে শুরু করে সাংসদ, মন্ত্রী ও রাজনীতিকেরা তাঁদের ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে তা শেয়ার করেন। সবাই পুরো তথ্যচিত্র দেখার অপেক্ষায় ছিলেন।

চারটি প্রেক্ষাগৃহে ‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’ মুক্তি প্রসঙ্গে পিপলু বলেন, ‘তথ্যচিত্রের ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। আমরা শুরুতে তাঁদের ছবিটি দিয়েছি, যাঁরা আগ্রহ দেখিয়েছেন। আর দর্শকের আগ্রহ কেমন, তা দেখতে চাই। দর্শক যদি আগ্রহী হয়, পরে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা বাড়াব। আপাতত চারটি প্রেক্ষাগৃহে দর্শক দেখুক, এরপর দর্শকের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’

‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের গল্পগুলোকে নিজের স্বাধীন দৃষ্টিভঙ্গিতে তুলে ধরেছেন পরিচালক পিপলু। তিনি ‘হাসিনা’ চরিত্রটিকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নাটকীয়, কিন্তু আন্তরিক ভঙ্গিতে চিত্রায়ণ করেছেন বিভিন্ন ভূমিকায়—কখনো বঙ্গবন্ধুর কন্যা, কখনো-বা কারও বোন, কখনো একজন নেতা বা পুরো দেশের ‘আপা’ হিসেবে। সবকিছুর ঊর্ধ্বে তাঁর ব্যক্তি সত্তাকে। ৭০ মিনিটের এই তথ্যচিত্রে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও তাঁর পরিবারের সদস্যদের দেখা গেছে। উঠে এসেছে শেখ হাসিনার সাধারণ জীবনের অসাধারণ কিছু মুহূর্ত। যেখানে তিনি কখনো মেয়ে, কখনো মা, কখনো বোন, আবার কখনো আমজনতার নেত্রী।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!