ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মাঠজুড়ে সোনালি ধান। আমন ধানের সোঁদা গন্ধে ভরে উঠছে আবহমান গ্রামীণ জনপদ। কেউ ধান কাটছেন, কেউ আঁটি বাঁধছেন। আবার কেউ ধান নিয়ে যাচ্ছেন বাড়ির উঠানে।
এ মৌসুমে কৃষকের আঙিনায় ধানের ছড়াছড়ি, গোলাভরা ধান আর সেই ধান ভাঙে চলছে চাল তৈরির তোড়জোড়। এমনি মহাব্যস্ততায় দম ফেলার ফুরসত নেই কৃষক আর কৃষক পরিবারে। টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় আমন ধান কাটা নিয়ে এমন চিত্র ফুটে উঠেছে। এর ফলে সখীপুরের মাঠে মাঠে যেন শুরু হয়েছে ধান কাটা উৎসব। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের মুখে মুখে এখন ফুটেছে হাসির ঝিলিক।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে সখীপুর উপজেলায় ১৬ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। এবার ব্রি-৪৯, ব্রি-৫১, পাজাম, আবছায়া ও স্বর্ণা ধান চাষ হয়েছে বেশি। ব্রি-৪৯ জাতের ধান অন্য জাতের ধানের চেয়ে আগাম পেকে যাওয়ায় ভালো ফলন হচ্ছে। এসব জাতের চাল সুস্বাদু ও চিকন হওয়ায় হাটবাজারেও এর চাহিদা রয়েছে।
চাষিরা জানান, ধান কাটা শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সব ধান ঘরে চলে আসবে। এবার প্রতি বিঘায় ১৮ থেকে ২০ মণ পর্যন্ত ধান উৎপাদন হয়েছে। বাজারে এখন প্রতি মণ নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকায়।
উপজেলার বোয়ালী গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন জানান, এবার ৫ একর জমিতে ধান চাষ করেছেন তিনি। ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। মাঠে মাঠে আমন ধান কাটা উৎসব শুরু হয়েছে। ধান কাটা শেষে নতুন চালের গুড়ায় ঘরে ঘরে শুরু হবে নবান্ন উৎসব।
ধান ব্যবসায়ী নয়া মিয়া জানান, বাজারে সবেমাত্র ধান উঠতে শুরু করেছে। বর্তমানে ব্রি-৪৯ ও ব্রি-৫১ ৭শ, পাজাম সাড়ে ৭শ থেকে ৮শ, আবছায়া সাড়ে ৭শ ও স্বর্ণা ৮শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সখীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, এবার ৪৯ হাজার ৯৮০ মেট্রিক টন চালের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। ইতোমধ্যেই ধান কাটা শুরু হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। কৃষকরা আগামী দুই/তিন সপ্তাহের মধ্যে সব ধান ঘরে তুলতে পারবে।