DMCA.com Protection Status
title="৭

তারেক রহমানের কন্ঠস্বর আওয়ামী পরাজয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি করে বিধায় ওরা ভয় পায়ঃ আবু সায়েম

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  অতি সম্প্রতি  বাংলাদেশের টক অব দ্য কান্ট্রি হলো বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থীদের সাক্ষাতকার গ্রহনে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ গ্রহন এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ঘোর আপত্তি। 

 আওয়ামী লীগের এই অভিযোগের জবাবে নির্বাচন কমিশন আচরনবিধি লংঘিত হয়নি বললেও বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে, লন্ডনে অবস্হানরত তারেক রহমানের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আবু সায়েম বলেন, স্কাইপি’তে তারেক রহমানের নির্বাচনী প্রক্রিয়াগুলোতে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে কোথাও কোন বাধা নেই, বিষয়টি আওয়ামী লীগ ইসি’র কাছে উত্থাপন করার আগেই জানতো। কিন্তু এরপরও করেছে, কারণ তারেক রহমানের কণ্ঠস্বরকে তারা ভয় পায় এবং এতে তাদের পরাজয়ের একটি সম্ভাবনা তৈরী হয়। মঙ্গলবার বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই তারেক রহমানের বিরোধিতা করা হচ্ছে, যদিও তারেক রহমানের নির্বাচনী প্রক্রিয়াগুলোতে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে কোথাও কোন বাধা নেই। সংগত কারণেই ইসির পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে যে, এক্ষেত্রে তাদের করণীয় কিছু নেই। সোমবার বিএনপির কয়েকজন নেতা বিবৃতি দিয়েছেন, তারেক রহমান যাতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে না পারেন সেজন্য স্কাইপি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আবু সায়েম বলেন, স্কাইপি’র মাধ্যমে বাংলাদেশে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না এবং এটি বিটিআরসি থেকেই করা হয়েছে। যেহেতু আওয়ামী লীগ কোন কাজে তারেক রহমানের সম্পৃক্ততা পছন্দ করছে না, তারা এ ধরণের কাজ করতে পারে, এটাই স্বাভাবিক। এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই।

 

অতি সম্প্রতি টক অব দ্য কান্ট্রি হলো বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন বোর্ডের সাক্ষাতকারে লন্ডন থেকে দলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ গ্রহন এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ঘোর আপত্তি। 

এই বিষয়ে আওয়ামী অভিযোগের জবাবে নির্বাচন কমিশন 

তারেক রহমানের এই উপদেষ্টা আরও বলেন, তারেক রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং যেহেতু দেশের জনগণ ও বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা তার সম্পৃক্ততা চাচ্ছেন, সেহেতু তার সম্পৃক্তটা বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। নির্বাচনী প্রচারে বা সভা-সম্মেলনে তারেক রহমানের স্কাইপি’র মাধ্যমে সম্পৃক্ত হবার পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে আবু সায়েম বলেন, অতিতেও তিনি স্কাইপি’র মাধ্যমে বক্তব্য রেখেছেন দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। সুতরাং দলের নির্বাচনী প্রচারণায় যদি তিনি স্কাইপি’র মাধ্যমে কিংবা যে কোন ডিজিটাল মাধ্যমে যুক্ত হোন, তাতে অবাক হবার কিছু নেই। পরিকল্পনা আসলে তৈরী হচ্ছে সমাজ পরিস্থিতিকে সামনে রেখে। সুতরাং এই মুহূর্তে আমি সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতে পারছি না, কখন কিভাবে বিষয়গুলো ঘটবে।

সেক্ষেত্রে যদি আইনী একটা বিতর্ক তৈরী হয় আপনারা কি আইনি লড়াই করার জন্য তৈরী থাকবেন? এ প্রশ্নের উত্তরে আবু সায়েম বলেন, আইনী লড়াই আমরা আইনে এবং মাঠে সবসময় করে আসছি এবং আমরা আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখবো।
বিএনপির দলীয় কর্মকান্ডে যেহেতু তিনি ঘনিষ্টভাবে জড়িত থাকতে চান, তিনি দেশে এসে জড়িত হচ্ছেন না কেন জানতে চাইলে আবু সায়েম বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেক সময় কথা বলেছি যে, তিনি যথাসময়ে দেশে ফিরে যাবেন। পারিপাশির্^ক পরিস্থিতি ও সামগ্রিকতা মিলিয়ে হয়তো এখনই যাচ্ছেন না। যখন সময় হবে তখন যাবেন।

অতিতে বড় বড় নেতারা গ্রেফতারের ভয়কে তুচ্ছ করে দেশে ফিরেছেন, কারাবরণ করেছেন, তিনি সে ঝুঁকি নিচ্ছেননা কেন জানতে চাইলে তারেক রহমানের এই উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি এমন নয় যে, তারেক রহমান গ্রেফতারের ভয়ে দেশে যাচ্ছেন না। এর সাথে আরও অনেক বিষয় জড়িত রয়েছে। তার দেশে যাবার প্রস্তুতি সবসময়ই রয়েছে। পরিস্থিতি যখনই ডিমান্ড করবে তখনই তিনি দেশে ফিরে যাবার অপেক্ষায় আছেন। আমরা আশা করছি তিনি অচিরেই দেশে ফিরে যাবেন। তিনি কি নির্বাচনের আগেই দেশে ফিরতে পারেন এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সম্ভাবনার কথা কখনও উড়িয়ে দেওয়া যায় ন। সবকিছু সিদ্ধান্ত হবে দলীয়ভাবে এবং তার পরিবার সিদ্ধান্ত নেবেন। সবকিছু মিলিয়ে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত যথাসময়ে আসবে।

সূত্রঃ বিবিসি বাংলা।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!