DMCA.com Protection Status
title=""

পুলিশ কথা না শুনলে নির্বাচন কমিশন কী করতে পারেঃ নির্বাচন কমিশন।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলার সাথে সম্পর্কিত উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে আজ এক বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে এই বৈঠকে।

বৈঠকটি এমন সময় হচ্ছে যখন বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি ক্রমাগত অভিযোগ করে চলেছে যে, শিডিউল ঘোষণার পরও বিভিন্ন জায়গায় তাদের নেতা কর্মীদের ধরপাকড় করা হচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তফসিলের পর থেকে এপর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া তাদের দলের ৫২৯ জন নেতা কর্মীর তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছেন।

এর আগেও বিএনপি দুই দফায় তাদের দলের গ্রেফতারকৃতদের তালিকা দিয়েছে নির্বাচন কমিশনে।

 

বিএনপি নেতা মিস্টার আলমগীরের অভিযোগ, 'পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা সরকারের পক্ষে কাজ করছেন।'

তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিবিসি বাংলার কাছে দাবি করেছেন যে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকেই আটক করা হচ্ছেনা।

এ পটভূমিতে পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনের প্রাক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন আইন শৃঙ্খলার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়ার থাকলে সেটিই আজ কর্মকর্তাদের দেবেন তারা।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা
 

"যেহেতু এখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে তাই নির্বাচন বা রাজনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে যেনো কোনো দলের নেতাকর্মী হয়রানির শিকার না হয় সেব্যাপারে সতর্ক থাকা। যদিও আইন শৃঙ্খলাকে অস্থিতিশীল করতেও হয়তো কেউ তৎপর থাকবে-সেটিও সহনশীলতার সাথে দেখা"।

মিস্টার চৌধুরী বলছেন, "রাজনৈতিক কর্মী সমর্থক বা নেতাদের রাজনীতি সম্পর্কিত কোন তৎপরতার জন্য ধরপাকড় যেনো না হয় সে ব্যাপারে তাদের বলা হবে।"

বিএনপি ধরপাকড়ের যেসব অভিযোগ করেছে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন একটি তালিকা দেখেছি যেখানে ২০১৩-১৫ সালে আটক যারা হয়েছেন তাদের মামলার তালিকা।

"তফসিল ঘোষণার পর সুনির্দিষ্ট অভিযোগে যাদের গ্রেফতার হয়েছে সেটা দেয়ার জন্য আমরাই বলেছি। তেমন থাকলে আমরা খতিয়ে দেখবো। রাজনৈতিক বিবেচনায় গ্রেফতার হলে সেক্ষেত্রে আমাদের নির্দেশনা সেভাবে থাকবে"।

 

পুলিশ কথা না শুনলে কমিশন কী করতে পারে?

নির্বাচন কমিশনার শাহাদত হোসেন চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলছেন এ বিষয়ে একটি আইন রয়েছে।

"তফসিল ঘোষণা থেকে চূড়ান্ত রেজাল্ট এবং সেটা গেজেট হওয়া পর্যন্ত যে নির্বাচন কালীন সময় আছে এটুকু সময়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা কমিশন নিতে পারে"।

কর্মকর্তারা বলছেন আইনানুগ ব্যবস্থা বলতে পুলিশ যদি নির্দেশনা না মানে তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে কোনো ধরণের ব্যবস্থার নির্দেশ দিতে পারে কমিশন।

তবে যেহেতু একটি দলীয় সরকার ক্ষমতায় আছে এবং পুলিশ বিষয়ে কমিশনের নির্দেশনা কতটুকু কার্যকর হয় সেটি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

কমিশন সচিবালয়ের একজন কর্মকর্তা বলছেন একমাত্র এ ধরণের পরিস্থিতি উদ্ভব হলেই দেখা যাবে যে কমিশনের নিদের্শনা কার্যকর হয় কি-না ঠিকমতো।

আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে অগ্রাধিকার কি কি

মিস্টার চৌধুরী বলছেন নির্বাচনের একটা সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের পরিবেশ যেনো থাকে এটিই কমিশনের চাওয়া।

"এখন থেকে নির্বাচন পর্যন্ত প্রার্থীরা যেনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পায়। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সারা পৃথিবীতেই আছে। আমরা তেমন আশংকা না করলেও উড়িয়ে তো দেয়া যায়না"।

তিনি বলেন তারা চান নির্বাচনের পরিবেশ যেনো সুষ্ঠু থাকে। প্রার্থীরা যেনো সমান সুযোগ পায় ও ভোটার যেনো নির্বিঘ্নে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে। আর নির্বাচনের পরেও যেনো কোনো সহিংসতা না হয়।

সূত্রঃ বিবিসি বাংলা।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!