ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাবা-মা, শিক্ষক ও অভিভাবক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব শিশুদের সুরক্ষিত করা এবং তাদের ইন্টারনেটের ইতিবাচক দিক সম্পর্কে জানানো।
তিনি বলেন, আমাদের শিশুরা অনলাইনে কী করছে সে বিষয়বস্তু নিয়ে আমাদের সচেতন হওয়া দরকার এবং অনলাইনে যেকোনো ক্ষতিকর প্রভাব থেকে তাদের নিরাপদে রাখতে তারা অনলাইনে যেসব বিষয়বস্তু দেখছে বা জানছে তা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ। আমরা চাই সবার জন্যই নিরাপদ ইন্টারনেট।
সোমবার ‘জিপি’ হাউজে শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মসূচি ‘বি স্মার্ট ইউজ হার্ট’ সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের মতো গণ্যমান্য ব্যক্তি ও নীতিনির্ধারকরা নিরাপদ ইন্টারনেটের এ উদ্যোগকে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী উদ্যোগ বলে প্রশংসা করেন।
দেশজুড়ে ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী চার লাখ শিক্ষার্থী এবং ৭০ হাজারের বেশি শিক্ষক, বাবা-মা ও অভিভাবকদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্য অর্জন করেছে শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মসূচি ‘বি স্মার্ট ইউজ হার্ট’। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা যাতে ডিজিটাল শিক্ষার ইতিবাচক অভিজ্ঞতা গ্রহণে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে তাদের সচেতন করে তোলাই ছিল এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশের মেধাবী তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞানের ইতিবাচক দিক সম্পর্কে ধারণা তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, তরুণদের হাতেই আমাদের ভবিষ্যৎ নিহিত। এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে শিশুদের ক্ষমতায়ন এবং ডিজিটাল রাজ্যে তাদের সুরক্ষিত করা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের শিশুদের সঠিক বৃদ্ধি ও উন্নয়নে ইন্টারনেট অপরিহার্য একইসাথে এটা সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে, আমাদের শিশুরা ইন্টারনেটে নানা প্রতিকূল অবস্থার পাশাপাশি, অনলাইনে নিরাপদ থাকার গুরুত্ব নিয়ে সচেতন।
অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এদুয়ার্দ বেগবিদি বলেন, দেশের প্রতিটি শিশু যেন ইন্টারনেট থেকে উপকৃত হতে পারে, তাই শিশুদের, শিক্ষকদের এবং অভিভাবকদের জন্য অনলাইনে কীভাবে নিরাপদ থাকা যায়- এ বিষয়ে জ্ঞান ও সচেতনতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।