ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ শরীয়তপুরের তিনটি আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয় পেতে ১৭ নেতা ফরম জমা দিয়েছেন। বিএনপির মনোনয়ন বোর্ড তাদের সাক্ষাৎকারও নিয়েছে। কিন্তু নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় এখনও দেখা মেলেনি ওইসব নেতা ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের। তাদের কোনো তৎপরতাও নেই।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চূড়ান্ত মনোনয়নের অপেক্ষায় ঢাকায় অবস্থান করছেন নেতার। আর মামলা, হামলা ও গ্রেফতার আতঙ্কে মাঠে নামছেন না কর্মী-সমর্থকরা।
বিএনপি দলীয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুর-১ (সদর-জাজিরা) আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার নাসির উদ্দিন কালু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন বাদল, মাহাবুব মোর্শেদ টিপু, আমিনুল ইসলাম, সহ-সভাপতি সিরাজুল হক মোল্লা, শাহ আব্দুস সালাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন আকন্দ ও ইতালি বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক ফাহিমা আক্তার।
শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে মনোনয়ন পেতে ফরম জমা দিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সফিকুর রহমান কিরণ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জামাল শরীফ হিরু, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান বাচ্চু সরকার এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফয়সাল আহম্মেদ।
এছাড়া শরীয়তপুর-৩ (ডামুড্যা-ভেদরগঞ্জের আংশিক ও গোসাইরহাট) আসনে প্রার্থী হতে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একান্ত সচিব মিয়া নুরুউদ্দিন অপু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আহম্মেদ আসলাম, শরীয়তপুর জেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক আল আসমাউল হুসনা, প্রায়ত আওয়ামী লীগ নেতা হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গর স্ত্রী বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাহমিনা আওরঙ্গ, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহতথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন সবুজ।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার নাসির উদ্দিন কালু বলেন, এখনও নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি। নেতাকর্মীরা আতঙ্কিত, শঙ্কিত। তাই চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত কর্মীরা মাঠে কাজ করতে পারছে না।
জেলা বিএনপির সভাপতি সফিকুর রহমান কিরন বলেন, মাঠ পর্যায়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংগঠিত আছে। কৌশলগত কারণে তারা চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণার আগে মাঠে নামছেন না। দু’এক দিনের মধ্যে মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তখন সকল পর্যায়ের কর্মী-সমর্থকরা ভোটারদের কাছে পৌঁছে যাবে।
শরীয়তপুর জেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক আল আসমাউল হুসনা বলেন, দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থরা অধির আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন আমাদের প্রিয় নেত্রী কারাগার থেকে বের হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন। আমরা সবাই সংগঠিত আছি, মনোনয়ন চূড়ান্ত হলেই নির্বাচনী মাঠে তৎপর হব।
শরীয়তপুর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বিদ্যুৎ বলেন, আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছি। ঘরোয়াভাবে সংগঠিত হচ্ছি। মনোনয়ন চূড়ান্ত হলে মাঠে নেমে যাব।