ক্যাপ্টেন(অবঃ)মাক্যাপ্টেন (অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, ‘ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচন থেকে প্রতিহতের জন্যই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনের আগে হাইকোর্ট রায় দিয়েছে। সরকার আদালতকে ব্যবহার করে নির্বাচন থেকে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে প্রতিহত করতে চায়।’
‘নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে বিচারিক আদালতে কোনো ব্যক্তির দুই বছর বা তার বেশি মেয়াদে সাজা হলে ওই দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল চলাকালে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না’- হাইকোর্টের এ আদেশে এমন প্রতিক্রিয়া জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘যড়যন্ত্রের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার এ চক্রান্ত জনগণ মানবে না।’
মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
প্রসঙ্গত, বিচারিক (নিম্ন) আদালতে দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হলে আপিলে বিচারাধীন অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে মঙ্গলবার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অবশ্য দণ্ড স্থগিত হলে নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোনো বাধা থাকবে না বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুর্নীতির দায়ে বিচারিক আদালতের দেয়া দণ্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে আমান উল্লাহ আমানসহ বিএনপির পাঁচ নেতার আবেদন খারিজের আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানান আদালত। ফলে বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়াসহ আমান উল্লাহ আমান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, আব্দুল ওহাব ও মশিউর রহমান আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
আদালতের ওই আদেশের পর নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আপিলে খালাস পেলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। নির্বাচনে অংশ নিতে হলে তাকে (খালেদা জিয়া) মুক্তির পরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে।’
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল এবং নতুন মিত্র ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের ৬০টির বেশি আসন দেয়া হবে না বলেও জানান মির্জা ফখরুল। বলেন, শরিকদের মধ্যে আসন বণ্টন নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনা করে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।