ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অবৈধ হাসিনা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আজ বলেছেন, গুজবে কান দিবেন না। গুজব বা মিথ্যা তথ্য একটি দিয়াশলাইয়ের মতো। দিয়াশলাই কাঠি যেমন মুহূর্তেই জ্বলে উঠে ও বিশাল অগ্নিকাণ্ড ছড়াতে পারে, তেমনি কোনও গুজব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে। তাই তথ্য যাচাই না করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড বা শেয়ার করা যাবে না। যারাই গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে ও চেষ্টা করছে তাদের চিহিৃত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে ‘গুজব বিরোধী জনসচেতনতামূলক বিজ্ঞাপনের (টিভিসি)’ মিথ্যে রুখে,সত্য জানো উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গুজবের খারাপ দিকের কথা বলতে গিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রামুর কথা আমরা ভুলিনি। আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের কথাও ভুলিনি। কিছু দিন আগে ছোট ছোট স্কুলের ছেলেমেয়েরা রাস্তায় নেমে এসেছিল। যদিও তারা একটা সঠিক কারণেই রাস্তায় নেমেছিল। কিন্তু সেটাকে গুজব রটিয়ে ভিন্ন খাতে নেওয়ার অপচেষ্টা আমরা দেখেছি। ইতোমধ্যে র্যাব সাইবার ক্রাইম সেল গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা সাইবার অপরাধীদের ওপর নজর রাখছি।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, লেখাপড়া জানে না এমন ব্যক্তিও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে। গুজব ছড়িয়ে রামুতে ভয়াবহ ঘটনা ঘটানো হয়েছে, ছাত্র আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। গুজব সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে।
র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এক শ্রেণীর মানুষ উঠেপড়ে লেগেছে। তারা মিথ্যা অপপ্রচার করে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। আমরা বিশ্বাস করি দেশবাসী এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবে না। জঙ্গি ও মাদকের বিরুদ্ধে আমরা ভিডিওচিত্র তৈরি করেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় গুজববিরোধী তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো একধরনের ফৌজদারি অপরাধ। তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে তাদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে।