ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মেসি-রোনালদোর রাজ্যে হানা দিয়েছেন লুকা মদ্রিচ। গত এক দশক ব্যালন ডি'অরকে নিজেদের সম্পত্তিই বানিয়ে ফেলেছিলেন তারা। অবশেষে সেই রাজত্বের অবসান হয়েছে। এবার ব্যালন ডি'অর জিতেছেন ক্রোয়েশিয়ার লুকা মদ্রিচ।
মদ্রিচের এই জয় নিয়ে অবশ্য নানা মুনির নানা মত। অনেকেই মনে করছেন, এবার ব্যালন ডি'অর স্বচ্ছ হয়নি। কেউ কেউ তো এই পুরস্কার মদ্রিচকে পাইয়ে দেয়ার মধ্যে মাফিয়াদের হাতও দেখছেন।
ব্রাজিল এবং বার্সেলোনার সাবেক তারকা ফুটবলার রিভালদো অবশ্য ওত দূর যাচ্ছেন না। তবে তার মত, ব্যালন ডি'অরটা জেতা উচিত ছিল জুভেন্টাস তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরই। আর সেরা তিনের মধ্যে মেসির না থাকাটাও বিস্ময়ের মনে করছেন তিনি।
ফিফা আর উয়েফার বর্ষসেরা পুরস্কার জেতায় মদ্রিচ অবশ্য এবার ফেবারিটদের তালিকাতেই ছিলেন। থাকবেনই বা না কেন? রাশিয়া বিশ্বকাপে বলতে গেলে একা কাঁধেই ক্রোয়েশিয়াকে প্রথমবারের মতো ফাইনালে তুলেছিলেন তিনি। মে মাসে রিয়াল মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতেও ছিল তার অবদান।
মদ্রিচ ব্যালন ডি'অর জিতেছেন। রোনালদো দ্বিতীয় আর অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ফরাসি ফরোয়ার্ড অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান ছিলেন তালিকায় তৃতীয়। ২০০৬ সালের পর প্রথমবারের মতো সেরা তিনেও জায়গা হয়নি মেসির। ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপেরও পেছনে থেকে আর্জেন্টাইন জাদুকর শেষ করেছেন পঞ্চম স্থানে থেকে।
এবারের ব্যালন ডি'অর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রিভালদো বলেন, ‘এটা নিয়ে মতামত দেয়া সবসময়ই কঠিন কাজ। ২০১৮ সালে লুকা মদ্রিচের দারুণ একটি মৌসুম কেটেছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে, ক্রোয়েশিয়াকে বিশ্বকাপে তুলতে সাহায্য করেছে। তবে আমাকে যদি বেছে নেয়ার সুযোগ দেয়া হতো, তবে আমি রোনালদোকেই ভোট দিতাম।’
কারণটাও ব্যাখ্যা করেছেন ব্রাজিলের সাবেক এই ফুটবলার, ‘পর্তুগিজ এই খেলোয়াড় গত মৌসুমে অনেক গোল করেছে। ঘরের বাইরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সে জুভেন্টাসের বিপক্ষে দারুণ এক গোল করেছে। স্পেনের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকসহ বিশ্বকাপে চার গোল করে নিজের মূল্য বুঝিয়েছে। আমি মনে করি, সে অন্য কারও চেয়ে বড় দাবিদার ছিল।’
রিভালদো আরও যোগ করেন, ‘আর হ্যাঁ, আমাদের সামনে কিন্তু লিওনেল মেসিও ছিল। যার অন্ততঃপক্ষে সেরা তিনে থাকা উচিত ছিল।’