ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিশ্বের সেরা আক্রমণভাগ কাদের? অনেকেই চোখ বন্ধ করে বলে দেবে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) কথা। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার নেইমার এবং ফ্রান্স স্ট্রাইকার কাইলিয়ান এমবাপের জুটি যে কোনো দলের জন্যই ভয়ঙ্কর। বিশেষ করে ফরাসি লিগ ওয়ানে। যদিও চলতি মৌসুম শেষে সম্ভবত আর বিশ্বসেরা আক্রমণ জুটিকে ধরে রাখতে পারছে না পিএসজি। উয়েফা ফাইনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নীতির কারণে ছেড়ে দিতে হবে অন্তত একজনকে।
ফ্রান্সের বিখ্যাত দৈনিক দ্য এল ইকুইপে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, চলতি মৌসুমের পরই নেইমার কিংবা এমবাপের যে কোনো একজনকে অবশ্যই ছেড়ে দিতে হবে। না হলে উয়েফার পক্ষ থেকেই ফাইনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’র নিয়ম ভঙ্গ করার দায়ে অভিযুক্ত হতে হবে পিএসজিকে এবং যে কোনো অপ্রত্যাশিত শাস্তির খড়গও নেমে আসতে পারে দলটির ওপর।
শুক্রবারই এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে এল ইকুইপে। যেখানে সম্পূর্ণ যুক্তি এবং বিস্তারিত বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে। বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে, কেন তাদের তারকা দুই ফুটবলারের অন্তত একজনকে ছাড়তে হবে। ২০১৭ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দাম দিয়ে দুই ফুটবল তারকাকে কিনে নিয়েছিল পিএসজি। ২২২ মিলিয়ন ইউরোয় নেইমারকে এবং ১৮০ মিলিয়ন ইউরোয় কিনে নেয় কাইলিয়ান এমবাপেকে।
এল ইকুইপের এই রিপোর্টের পর নেইমারকে কেনার তালিকায় যোগ হয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও। যদিও ইউরোপিয়ান মিডিয়ার দাবি পিএসজি সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ট্রান্সফার ফি পাওয়ার আশায় হয়তো বা এমবাপেকেই ছেড়ে দিতে পারে।
তবে এখনও পর্যন্ত সব কিছু নির্ভর করছে পুরোপুরি উয়েফার ওপর। কারণ, আগামী কিছুদিনের মধ্যে হয়তো এ নিয়ে কথা বলবে উয়েফা এবং ক্লাবের (পিএসজি) প্রতি সম্মান দেখিয়ে তারা কোনো ছাড় দেয় কি না সে দিকেও নজর রয়েছে সবার।
এদিকে এল ইকুইপেতে এই রিপোর্ট প্রকাশের পর তোলপাড় পড়ে গেছে পুরো ফুটবল আঙ্গিনায়। যার ফলশ্রুতিতে বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করতে বাধ্য হয়েছে পিএসজি। বিবৃতির শুরুতেই তারা সরাসরি আক্রমণ করেছে এল ইকুইপেকে। সেখানে লিখেছে, ‘এল ইকুইপে, এমন একটি মিডিয়া, যারা সব সময় মিথ্যা তথ্য ছড়ায়।’
এরপর এই খবরকে উড়িয়ে দিয়ে পিএসজি বলেছে, ‘আমরা খুব শক্তিশালীভাবে এই খবরের সত্যতা উড়িয়ে দিতে চাই যে, তারা পুরোপুরি মিথ্যা একটি সংবাদ পরিবেশন করেছে। যা খুবই হাস্যকর একটি ব্যাপার। এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে, ক্লাব এবং মিডিয়ার মধ্যে একটা অহেতুক টেনশন তৈরি করা। পিএসজি এর আগেও একবার এল ইকুইপের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল।’