ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অবশেষে প্রতীকসহ প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর ফরিদ। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মতে বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন তার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়েছেন। একইসঙ্গে তাকে ধানের শীষের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সূত্রমতে, আলমগীর ফরিদ বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২৩ দলীয় জোট থেকে জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আযাদকে এ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়। ফলে দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছিলেন আলমগীর ফরিদ। তাই নির্বাচন কমিশনের কাছে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার সুপারিশ জমা দিতে পারেননি তিনি। তাই নির্বাচনী বিধিমতে, আপনা-আপনিই তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। এরপর আদালতের আশ্রয় নেন বিএনপির প্রার্থী আলমগীর ফরিদ।
আলমগীর ফরিদের আইনজীবী ফারুক ইকবাল জানান, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থিতা ও প্রতীক ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন আলমগীর ফরিদ। ওই পিটিশন আমলে নিয়ে আলমগীর ফরিদের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়ে তাকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু ওই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে নির্বাচন কমিশন। এরপর ১৮ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনের আপিল আবেদন নাকচ করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। ফলে আলমগীর ফরিদের প্রার্থিতা এবং ধানের শীষ প্রতীক পেতে সব প্রতিবন্ধকতা দূর হয়। এ-সংক্রান্ত সব ধরনের কাগজপত্র বুধবার সকালে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনে কাছে জমা দেন প্রার্থীর আইনজীবীরা।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, সারাদিন দাফতরিক অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় আলমগীর ফরিদের জমা করা কাগজপত্র পর্যালোচনা করার সুযোগ পাননি রিটার্নিং কর্মকর্তা কামাল হোসেন। সন্ধ্যায় কাগজপত্র যাচাই করে সবকিছু ঠিকটাক থাকায় আলমগীর ফরিদকে প্রার্থিতা অবমুক্ত করে সাথে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, মনোনয়ন জমা থেকেই কক্সবাজার-২ আসনের আলমগীর ফরিদকে নিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। কয়েক দফায় আইনি বাধা কাটিয়ে তিনি নির্বাচন করার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। তাই তাকে প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি ধানের শীষ প্রতীকও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে আলমগীর ফরিদের নির্বাচন করতে আর কোনো বাধা রইল না।