ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর বগুড়ার ৭টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ৩ হাজার দুইশ জনকে আসামি করে কমপক্ষে ১৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। থানা পুলিশ এসব মামলায় এখন পর্যন্ত শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
ধানের শীষের প্রার্থী, নির্বাচনী অফিস ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিংযোগের মতো বেশকিছু ঘটনা ঘটেছে। অথচ উল্টো ধানের শীষের কর্মী ও সমর্থকদের নামে থানায় মামলা দেয়া হয়েছে।
শনিবার বিকেলে বগুড়া বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম এসব অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের নূন্যতম পরিবেশ কোথাও নেই। প্রার্থীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারি দলের সকল বাধা উপক্ষো করে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। ধানের শীষের জোয়ার দেখে সরকারি দল সবস্থানে মামলা হামলার পথ বেছে নিয়েছে। তারা জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধার সৃষ্টি করবে। তিনি যেসব মামলা দায়ের করা হয়েছে তার প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া-৫ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজ বলেন, তফশিল ঘোষণার পর ধুনট ও শেরপুর উপজেলায় শতাধিক নেতাকর্মীর নামে ৭টি মামলা করেছে আওয়ামী লীগ। তার মধ্যে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৫ জনকে। অথচ দিনের বেলা ধুনট সদরে তার গাড়ি বহরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও আহত করার ঘটনায় থানায় মামলা দিলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
বগুড়া-১ আসনের প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা থানায় তফশিল ঘোষণার পর ধানের শীষের প্রায় ৩ হাজার নেতাকর্মীর নামে ৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। ইতোমধ্যে ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বগুড়া-৪ আসনের প্রার্থী মোশারফ হোসেন, বগুড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চান, বগুড়া-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী মাছুদা মোমিন, বিএনপি নেতা মাহবুবর রহমান হারেজ, শেখ তাহাউদ্দিন নাহিন, অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা পপন, মিজানুর রহমান, খাদেমুল ইসলাম, কেএম খায়রুল বাশার, জাহাঙ্গীর আলম, মাহবুব হাসান লেমন, আবু জাফর জেমস প্রমুখ।