ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ-লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনে নির্বাচনী সহিংসতায় আওয়ামী লীগ কর্মীরা বিএনপি সমর্থকদের অন্ততঃ ৫০টি দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বলে অভিযোগ করেছে। এসময় কয়েকটি মাইক্রোবাস ভাঙচুরসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
রোববার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে দফায় দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে শরীফুল ইসলাম নামে এক যুবলীগ নেতা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সন্ধ্যায় একদল যুবলীগ কর্মী উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের বেতাগাঁও গ্রামে গিয়ে ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। এতে বিএনপি নেতাকর্মীরা বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ ঘটনার জের ধরে হেলমেট পরিহিত একদল আওয়ামী দুর্বৃত্ত বেতাগাঁও গ্রামের শফিকের বাড়ি ও দোকানে আগুন ও জালালের বাড়ি ও দোকানে আগুন এবং শাহীন নামে এক ব্যক্তি ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
এছাড়া মাও. ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তির বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। একই সময়ে রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের ইলেকশান বাজারে হালিমের দোকান, জয়নাল নামে এক ব্যক্তির হার্ডওয়্যার দোকান, মঘুয়া গ্রামের শাকের নামে এক ব্যক্তির দোকান ও শামছু উদ্দিনের মার্কেটে ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।
এ বিষয়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরীর মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস জানান, ‘সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) নাঙ্গলকোটের রায়কোট বাজারে একটা পথসভা করার কথা আমাদের। এর আগেই আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করেছে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার রাতে আমাদের দুইজন কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে একজনকে ইয়াবা, আরেকজনকে অস্ত্র দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে।’
ইসমাইল নামে এক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে পুলিশ রাতে তুলে নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, কিছু ঘর-দোকানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। উভয়পক্ষের ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় যুবলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।