ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন অভিযোগ করেছেন, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের মাঠে দাঁড়াতেই দেওয়া হচ্ছে না। ভোট দেওয়া তো দূরের কথা, কাউকে ঘরে ঘুমাতেও দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীর বাসায় হানা দিয়ে বাড়াবাড়ি করছে। বিজিবিও নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে, হয়রানি করছে। এই পরিস্থিতিতে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীই এখন একমাত্র ভরসা।
গতকাল সোমবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে জামান টাওয়ারে ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ড. কামালের পক্ষে লিখিত বক্তব্যটি পাঠ করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল বলেন, একদিকে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত হচ্ছে না, অন্যদিকে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ভিসাও দেওয়া হচ্ছে না। উপজেলা চেয়ারম্যানদের পদত্যাগপত্র গ্রহণের আইন থাকলেও হাইকোর্ট থেকে তাদের নির্বাচন করতে দেওয়া হচ্ছে না। একমাত্র ভরসা স্বাধীনতার সময় অনন্য ভূমিকা পালনকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে। তাদের কাছ থেকে দেশের মানুষ নিরাপদ পরিবেশে অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রত্যাশা করে।
ড. কামাল বলেন, বিভিন্ন স্থানে বিজিবি মোতায়েন করা হলেও এখন পর্যন্ত পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নত হয়নি বরং পুলিশের উপস্থিতি ও বাড়াবাড়ি পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বিজিবি ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে। আশার কথা, সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভূমিকা পালনকারী আমাদের গর্ব সেনাবাহিনী বিশ্বব্যাপী শান্তি মিশনে কৃতিত্বের সঙ্গে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশে নিরাপদ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে জাতি তাদের কাছে সে ভূমিকাই প্রত্যাশা করে। দেশব্যাপী সে পরিবেশ সৃষ্টির কঠিন দায়িত্ব সেনাবাহিনীর ওপর ন্যস্ত। দেশে একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে নীলনকশা চলছে, সেটা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আর এটা হবে আত্মঘাতী। এমনটা হলে দেশ ও জাতি চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে। আমাদের প্রত্যাশা, এই মুহূর্তে দেশবাসীর পাশে দাঁড়াবে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী।
শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘থাকবো, ইনশাল্লাহ? থাকবো।’ শূন্য আসন নিয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত কি? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সেসব আসনে নতুন প্রার্থী দিতে নির্বাচন কমিশনকে আবেদন জানাই।’ সংবাদ সম্মেলনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও উপস্থিত ছিলেন।