ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামীকাল সারাদেশে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য তৈরি করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে। ভূয়া ব্যালট পেপার ছাপিয়ে ভিডিও করতে পারে। তাদের (বিএনপি-জামায়াত) এ ধরনের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশের মানুষকে সচেতন থাকতে হবে।’
আবদুর রহমান বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সামনে তারা আরো ভয়াবহ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে।
আজ দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত দলের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি, বিজ্ঞাণ ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল দাসগুপ্ত ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুর রহমান বলেন, সারাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে ভোটারদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসবমূখর পরিবেশে নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম চলছে।
তিনি বলেন, রাজধানীর রেল স্টেশন, লঞ্চঘাট ও বাস টার্মিনালে নির্বাচনী উৎসবে যোগ দিতে যাওয়া ঘরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, কিন্তু বিএনপি-জামায়াত ও ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে হতাশার পাশাপাশি হিংস্রতা দেখা যাচ্ছে। তারা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করছে। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে তারা হত্যা করেছে। তারা আওয়ামী লীগের শত শত দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নি-সংযোগ করেছে। তারপরও তারা তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে পারছে না। কারণ তারা মিথ্যাচার ও নাশকতা করে সুবিধা করতে পারছে না।
তিনি বলেন, ভোটের মাঠে বিএনপির নেতা তো দূরের কথা কোনো কর্মীকেও দেখা যাচ্ছে না। তাই তারা দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বিএনপির নেতা তারেক রহমানের সহচর আট কোটি নগদ টাকা ও দশ কোটি টাকার চেকসহ রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় গ্রেফতার হয়েছে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের এ টাকা দুবাই হয়ে দেশে এসেছে। দেশকে আবারো পিছিয়ে দেয়ার জন্য ওই গোয়েন্দা সংস্থা বিএনপি-জামায়াতের মাধ্যমে এ টাকা ব্যয় করছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির প্রধান লক্ষ্য হলো নির্বাচনকে ভুণ্ডুল করা, না হয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। তাই তারা প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচার না করে সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। তারা নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা সাংবাদিক ও পুলিশ সম্পর্কে অশোভন মন্তব্য করছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগেই যারা সাংবাদিক ও পুলিশের সাথে এমন অশোভন আচরণ করে তারা নির্বাচিত হলে জনগণের সঙ্গে কেমন আচারণ করবে তা ভাবতেও লজ্জা হয়। তাদের এ ধরনের বক্তব্য থেকে প্রমাণ হয়, তারা চরম হতাশা থেকে এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট অন্ধকারের শক্তি। তারা অন্ধকারের গলিপথ দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। তারা নির্বাচিত হলে দেশে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে। দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।