ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে জেলাগুলোতে প্রচারণার সময়টাতে ভয়ভীতির পরিবেশ ছিল, এরমধ্যে বরিশাল জেলা অন্যতম।
সেখানে প্রচারণার মাঠ ছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দখলে।
পুলিশী হয়রানি এবং গ্রেফতার আতংকে বিএনপি সেভাবে মাঠে নামতে পারেনি।
সেই আতংক এখনও বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে আছে।
এখন ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতির শেষপর্যায়ে এসে বিএনপি কেন্দ্রে কেন্দ্রে এজেন্ট নিয়োগ নিয়ে সমস্যায় পড়েছে।
তবে আওয়ামী লীগ বরিশালের সব আসনের ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট চূড়ান্ত করে ফেলেছে।
বরিশাল থেকে সাংবাদিক শাহিনা আজমিন জানিয়েছেন, গ্রেফতার আতংকের কারণে বিএনপি প্রার্থীরা প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের জন্য এজেন্টদের একাধিক দল ঠিক করে রেখেছেন।
যাতে কোন এজেন্ট কেন্দ্রে যেতে না পারলে বিকল্প এজেন্ট দেয়া যায়।
বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে অভিযোগ করেছে, প্রচারণার সময় অনেক জেলায় সংঘর্ষ বা সহিংস হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সেই প্রেক্ষাপটে এবং গ্রেফতারের ভয় থেকে এজেন্ট নিয়োগের জন্য তারা পর্যাপ্ত লোক পাচ্ছে না।
দলটির অভিযোগের তালিকায় যে জেলাগুলোর নাম এসেছে, তার মধ্যে নোয়াখালী রয়েছে।
তবে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক এবং রিটার্নিং অফিসার তন্ময় দাস বলছিলেন, সেখানে সব আসনে সব প্রার্থীদের পক্ষেই এজেন্টের তালিকা প্রশাসন পেয়েছে। অন্য কোন অভিযোগ তিনি পাননি।
ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি জানাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতেও এজেন্ট নিয়োগের ইস্যুটি জায়গা পেয়েছে।
তিনি বলেছেন, মামলা না থাকলে কোন প্রার্থীর এজেন্টকে গ্রেফতার করা যাবে না।
কিন্তু এজেন্ট নিয়োগের ব্যাপারে প্রার্থীরা কেন এত গুরুত্ব দেয়। ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট কেন প্রয়োজন?
এসব প্রশ্নও থাকতে পারে অনেকের। নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী একটি বেসরকারি সংস্থা ব্রতীর শারমিন মুরশিদ বলছিলেন, ভোটকেন্দ্রে একজন এজেন্ট তার প্রার্থীর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন, এবং ভোটকেন্দ্রে এজেন্টের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।