ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আগের বারের চ্যাম্পিয়ন ও এবারের টপ ফেভারিট রংপুর রাইডার্স হারলেও শনিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ফেভারিটের মতোই জিতেছে ঢাকা ডায়নামাইটস। তারুণ্য নির্ভর দল রাজশাহীকে তারা হারিয়েছে ৮৩ রানের বড় ব্যবধানে।
ঢাকার ছুড়ে দেয়া ১৮৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোন চ্যালেঞ্জই জানাতে পারেনি রাজশাহী। অভিজ্ঞ পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ(২৯) ছাড়া আর কেউ বলার মতো রান করতে পারেননি। ইনিংসের শুরু থেকেই হাফিজ হাত খুলে খেলতে শুরু করেন, যার কারণে তৃতীয় ওভারেই বোলিংয়ে আসেন ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ওই ওভারেই তুলে নেন মমিনুল হকের উইকেট। এরপর শুরু হয় আসা-যাওয়ার মিছিল। রাজশাহীর ইনিংস শেষ হয়েছে ১৯তম ওভারে ১০৬ রানে অলআউট হয়েছে, যদিও তারা ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে অনেক আগেই।
৫৬ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে হাফিজ আউট হওয়ার পরই রাজশাহী লড়াই করার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। এরপর লোয়ার অর্ডার স্কোরটাকে একশ পার করেছে এই যা! দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ রান এসেছে আরাফাত সানির ব্যাট থেকে। ৭ ব্যাটসম্যান আউট হয়েছে এক অঙ্কের ঘরে।
ঢাকার বোলারদের মধ্যে জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেন ৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে এই ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বড় সংগ্রহ পায় ঢাকা ডায়নামাইটস। আফগান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হযরতুল্লাহ জাজাইয়ের বিধ্বংসী ইনিংস দলটিকে বড় স্কোরের ভিত এনে দেয়। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে দলটির সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৮৯ রান।
ব্যাট হাতে নেমেই তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছেন ঢাকার দুই ওপেনার। এর মধ্যে আফগান ওপেনার হযরতুল্লাহ জাজাই ছিলেন ব্যাপক বিধ্বংসী। তার ব্যাটে শুরু থেকেই বড় স্কোরের পথে চলেছে ঢাকা।
জাজাইয়ের ব্যাটে প্রথম ৪ ওভারেই ৪৫ রান তুলে ফেলে ঢাকা। জাজাইকে বাগে আনতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে রাজশাহীর বোলারদের। আলাউদ্দিন বাবুর এক ওভারে নিয়েছেন ২০ রান। মিরাজের এক ওভারে ৩ ছক্কাসহ নিয়েছেন ২১ রান। মাত্র ২২ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই আফগান ওপেনার। এর ফলে টুর্নামেন্টের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি এলো তার ব্যাট থেকে। আর এর মাধ্যমে ১০ ওভারেই ঢাকার স্কোর বোর্ডে ওঠে বিনা উইকেটে ১১৩ রান।
ঢাকাকে প্রথম সফলতা এনে দেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। ১১তম ওভারে তিনি সুনিল নারিনকে সাজঘরে ফেরান। নারিন করেছেন ২৮ বলে ৩৮ রান। পরের ওভারে জাজাই ফিরে যান ৪১ বলে ৭৮ রান করে। তাকে শিকার বানিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার ইনিংসে ছিলো ৭টি ছক্কা আর ৪টি চার।
এই জুটির বিদায়ের পর অবশ্য ঢাকা সাকিব আল হাসানের উইকেটও হারিয়েছে। সাকিব ২ রান করে আরাফাত সানির বলে আউট হয়েছেন। এরপর নুরুল হাসানও ক্রিজে টিকতে পারেননি।
তবে ৬ষ্ঠ উইকেটে শুভাগত হোম ও ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের পার্টনারশীপে ১৮৯ রানে পৌছায় ঢাকা। হোম ১৪ বলে ২ ছক্কা আর ৫ চারে ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। রাসেল অপরাজিত ছিলেন ১৯ বলে ২১ রান করে।