ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যাদের বেতন হয় তারা একটি অন্যায়কে প্রতিষ্ঠিত করতে কেন বেআইনি কাজ করবে।
তিনি বলেন, প্রশাসন, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা যা করেছেন তা রাষ্ট্র ও জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। ভবিষ্যতে আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার করা হবে।
রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার যে পরিকল্পনা তারা করেছিল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। শনিবার সন্ধ্যায় ফেনীর দাগনভূঞায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর বাড়িতে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে স্বৈরাচার টেকেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনি বঙ্গবন্ধুর চেয়ে বড় নেতা নন। একদলীয় সরকার গঠন করার কারণে তিনিও টিকতে পারেননি। এখনও সময় আছে এ নির্বাচন বাতিল করে দেন। আমাদের দাবি শুধু বিএনপিকে ক্ষমতায় আনা নয়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা। মির্জা ফখরুল বলেন, পাক হানাদার বাহিনী যেভাবে মানুষের ওপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, ৩০ ডিসেম্বর দেশের একটি সরকার প্রশাসনকে নিয়ে একই কায়দায় জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এটি কোনো নির্বাচন ছিল না, এটি ছিল একদলীয় সরকার গঠনের পরিকল্পনা। গণঐক্যের ডাকে মানুষের সাড়া দেখে তারা ভয় পেল, নির্বাচনে জনগণ যাতে ভোট দিতে না পারে তার সব ব্যবস্থা করে রেখেছিল সরকার।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ যদি এত জনপ্রিয় হয়, এত উন্নয়ন করে তাহলে কেন বিরোধী পক্ষকে কারাগারে রেখে নির্বাচন করতে হবে। সংলাপে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কোনো গ্রেফতার করবেন না, কিন্তু তিনি সেই প্রতিশ্র“তি রাখেননি। নির্বাচনের আগের দিনও গ্রেফতার হয়েছে নেতাকর্মীরা। ২০১০ সাল থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে ৯৮ হাজার মামলা ও ২৫ লাখকে আসামি করেছে।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধানের শীষে ভোট দেয়ায় পারুল আক্তার নামে যে নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এটির মাধ্যমে দেশের ১৮ কোটি মানুষের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আপনি একজন নারী, আপনার দলের নেতাকর্মীরা একজন নারীর প্রতি যে পাশবিক নির্যাতন করেছে তার জন্য আপনাকে দেশ ও জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এ সময় জনগণের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ এক মহাদুর্যোগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। খুনি-জানোয়ার থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালি, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন মিস্টার, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও ফেনী-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী আকবর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক চুট্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।