ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির এক সহযোগী বলেছেন, গত ডিসেম্বরে আফগানিস্তান সফরের সময় মার্কিন কর্মকর্তারা তার কাছে এসে তেহরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার এ দাবি অস্বীকার করেছে। গত মে থেকে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলছে। তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালের বহুপক্ষীয় পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন।
এর পর চুক্তি অনুযায়ী দেশটির ওপর থেকে তুলে নেয়া নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেছেন তিনি।
ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মহাসচিব আলি শামখানি বলেন, গত মাসে কাবুল সফরের সময় আলোচনায় বসতে মার্কিনিরা আমার কাছে অনুরোধ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কোন পক্ষ আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে তা নির্দিষ্ট করে বলেননি দেশটির সর্বোচ্চ ধমীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ঘনিষ্ঠ সহযোগী শামখানি।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুখপাত্র বলেন, এই খবর সত্যি নয়। শামখানিকে সুনির্দিষ্ট কোনো আলোচনার প্রস্তাবের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
তবে তিনি বলেন, জরুরি জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ইরানের সঙ্গে সংলাপের পথ খোলা রেখেছেন ট্রাম্প। তেহরানের ধ্বংসাত্মক আচরণে পরিবর্তন আনতে চান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, সিরিয়া, ইরাক, লেবানন ও ইয়েমেনে ছায়াযুদ্ধের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীল করে তুলছে তেহরান।